লা'শ নিয়ে অ'পেক্ষায় পু'লিশ, তবুও জানাজায় এলো না কেউ!
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল ও সহযোগী হরিপদ সাহা হ'ত্যা মা'মলার প্রধান আ'সামি শাহ আলমকে (২৮) জানাজা ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা'লে তার ম'রদেহের ময়নাত'দন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর তার ম'রদেহ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হলেও জানাজা নামাজের জন্য কেউ এগিয়ে না আসায় জানাজা ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, শাহ আলমের পরিবারের কেউ ছিলো না সেখানে। পরে বিকেল ৩টার দিকে জানাজা ছাড়াই নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এ সময় পুরো এলাকাজুড়ে ছিলো পু'লিশের কড়া নিরাপত্তা। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজে'লার চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় জে'লা গোয়েন্দা (ডিবি) ও কোতয়ালি মডেল থা'না পু'লিশের সঙ্গে ‘ব'ন্দুকযু'দ্ধে’ নি'হত হন শাহ আলম। তিনি নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃ'ত জানু মিয়ার ছে'লে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একইভাবে টিক্কারচর কবরস্থানে দাফন করা হয় ‘ব'ন্দুকযু'দ্ধে’ নি'হত মা'মলার তিন নম্বর আ'সামি সাব্বির হোসেন ও পাঁচ নম্বর আ'সামি মো.সাজনকে। তাদেরকে জানাজা দিতেও কেউ আসেনি। স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়নাত'দন্ত শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে শাহ আলমের ম'রদেহ টিক্কারচর ঈদগাহে নেওয়া হয় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে। এ সময় কবর খোঁড়ার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরবর্তীতে স্থানীয় এক বাসিন্দা মাটি খুঁড়ে দেন। কিন্তু বেলা ৩টা পর্যন্ত অ'পেক্ষা করা হলেও শাহ আলমের জানাজা পড়াতে কোনো মা'ওলানা ও মু'সল্লি আসেননি। পরে জানাজা ছাড়াই ম'রদেহ দাফন করা হয়।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থা'না পু'লিশের ভা'রপ্রাপ্ত কর্মক'র্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, এলাকাবাসী শাহ আলমের দাফনের সময় সমস্যা করতে পারে এই আশ'ঙ্কায় এলাকায় অ'তিরিক্ত পু'লিশ মোতায়েন করা হয়। অনেকক্ষণ অ'পেক্ষা করার পরও জানাজায় অংশ নিতে কেউ না আসায় জানাজা ছাড়াই লা'শ দাফন করতে হয়েছে।