ধ'র্ষক থেকে স্বামী, অ'তঃপর হ'ত্যা করলেন স্ত্রী'কে

ঢাকা থেকে বরিশালগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ কুয়াকা'টা-২ এর কেবিন থেকে শারমিন আক্তার নামে এক নারীর ম'রদেহ উ'দ্ধারের ঘটনায় নি'হতের স্বামী মো. মাসুদকে গ্রে'প্তার করেছে র‌্যা'­ব। গতকাল রবিবার কক্সবাজার থেকে নি'হত শরমিনের স্বামী মাসুদ হাওলাদারকে (১৯) গ্রে'প্তার করা হয়।

ত'দন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মক'র্তারা জানিয়েছেন, স'ম্পর্কের জেরে ধ'র্ষণের মা'মলার পর সমঝোতায় বিয়ে হয় শারমিন ও মাসুদের। এরপর স্ত্রী'কে হ'ত্যা পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিক'ল্পিতভাবে লঞ্চে নিয়ে হ'ত্যার পর গা ঢাকা দেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ত'দন্তে মাসুদকে শনাক্ত করে রেব।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কারওয়ান বাজারে র‌্যা'­ব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যা'­বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, মাসুদ ২০১২ সাল থেকে আশুলিয়ার একটি কম্পানিতে পিকআপ-এর হেল্পার হিসেবে কাজ করে। শারমিন ১২ বছর ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া তার চাচার বাসায় থেকে গার্মেন্টে চাকরি করছিলেন। ২০১৯ সালের শুরুতে তাদের পরিচয় হয়। বিয়ের আগে শারমিন বিমানবন্দর থা'নায় মাসুদের বি'রুদ্ধে একটি ধ'র্ষণ মা'মলা করেন। পরবর্তীতে ওই মা'মলার নিস্পত্তির জন্য উভ'য় পরিবারের সম্মতিক্রমে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর শারমিনের চাচার বাসায় তাদের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর তারা একসঙ্গে ছিলেন না। তাদের প্রায়ই জগড়া হতো। শারমিনকে ডিভোর্স দিতে চাইলেও দেনমোহর বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা পরিশোধের চিন্তায় তা আর করেননি।

গ্রে'প্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ জানায়, মাসুদ শারমিনকে বিয়ে করলেও তার সঙ্গে সংসার করার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু শারমিনকে ডিভোর্স দিতে চাইলেও দেনমোহর বাবদ পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করার ক্ষমতা তার নেই। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ফলে ঘটনার ১৫-২০ দিন আগে শারমিনকে তিনি হ'ত্যার পরিকল্পনা করেন। সম্প্রতি শারমিন সর্দি এবং কাঁশিতে আ'ক্রান্ত হয়। এই অ'সুস্থতার সুযোগে তাকে কাশির সিরাপের সঙ্গে বিষপান করানোর পরিকল্পনা করেন মাসুদ। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাসুদ চারদিন আগে আশুলিয়া বাজার থেকে চেতনানাশক একটি বোতল কিনে। এরপর মাসুদ বরিশালে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কাগজ জমা দিতে যাবে বলে শারমিনকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে নলছিটিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজী করায়। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার রাতা বরিশালে রওয়ানা হয়।

মাসুদ আরো জানায়, হ'ত্যার সময় যাতে শারমিনের চিত্কারে আশেপাশের কেউ কোনো কিছু শুনতে না পায় এই জন্য সে পরিক'ল্পিতভাবেই বরিশালগামী এমভি কুয়াকা'টা-২ লঞ্চের লস্কর কেবিন ভাড়া নেয়। ওষুধের সঙ্গে বিষপান করিয়ে মাসুদ তার কাধব্যাগ থেকে তার শার্ট বের করে শারমিনকে শ্বা'সরোধ করে তার মৃ'ত্যু নিশ্চিত করে।

র‌্যা'­বের মুখপাত্র আরো বলেন, ১০ ডিসেম্বর দুপুরের পর দেশের সব ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় হ'ত্যাকা'ণ্ডের ঘটনাটি প্রচার হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। র‌্যা'­ব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল ও র‌্যা'­ব-৮ এ ঘটনার ছায়া ত'দন্ত শুরু করে। অন্যদিকে মাসুদের এলাকায় ঘটনাটির ব্যাপারে জানাজানি হলে তিনি আত্মগো'পনের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি জে'লার (বরিশাল, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার) বিভিন্ন জায়গায় আত্মগো'পন করে।

Back to top button