দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে হ'ত্যার পর মায়ের আত্মহ'ত্যা

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে পারিবারিক কলহের জেরে দুই শি'শু সন্তানকে বিষপানে হ'ত্যার পর গলায় ফাঁ'স দিয়ে মায়ের আত্মহ'ত্যার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় জে'লার নবগঠিত ঈদগাঁও উপজে'লার ইস'লামপুর ইউনিয়নের উত্তর নাপিতখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঈদগাঁও থা'নার ভা'রপ্রাপ্ত কর্মক'র্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নি'হতরা হলেন- ঈদগাঁও উপজে'লার ইস'লামপুর ইউনিয়নের উত্তর নাপিতখালী এলাকার শহীদুল ইস'লামের স্ত্রী' ইমতিয়াজ খানম জিশান (২৪), তার সন্তান জাবিন (৫) ও জেরিন (২)।

তার স্বামী শহীদুল ইস'লাম পেশায় একজন লবন ব্যবসায়ী। ঘটনার সময় শহীদুল বাড়িতে ছিলেন না বলে জানান ওসি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আব্দুল হালিম বলেন, ঈদগাঁও উপজে'লার উত্তর নাপিতখালী এলাকার শহীদুল ইস'লাম ও তার স্ত্রী' ইমতিয়াজ খানম জিসানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এ নিয়ে মাঝে মধ্যে স্বামী-স্ত্রী'র ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। বুধবার বিকেলে ইমতিয়াজ খানম জিসান প্রথমে দুই শি'শু সন্তানকে কী'টনাশক পান করান। পরে বাড়ির খুঁটির সাথে নিজের গলায় ফাঁ'স লাগিয়ে আত্মহ'ত্যা করেন।

তিনি বলেন, প্রতিবেশীরা শহীদুল ইস'লামের বাড়ির ভিতরে কারো কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় খোঁজ নিতে যায়। এ সময় বাড়ির মেঝেতে দুই শি'শু সন্তানকে পড়া অবস্থায় এবং তাদের মাকে খুঁটির সাথে গলায় ফাঁ'স লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয়রা তার স্বামী ও পু'লিশকে খবর দেয়।

ওসি বলেন, খবর পেয়ে পু'লিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির মেঝেতে দুই শি'শুকে এবং তাদের মাকে ঘরের খুঁটির সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পু'লিশ ক্রা'ইম সিন ইউনিট খবর দেয়।

সকালে শহীদুল ইস'লাম ব্যবসায়ীক কাজে বাড়ি থেকে মহেশখালী যান। ঘটনার সময় তিনি বাড়ি ছিলেন না। স্থানীয়রা ধারণার কথা জানিয়ে বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহের জেরে মঙ্গলবার দিনে অথবা রাতে স্বামী-স্ত্রী'র মধ্যে ঝগড়া-বিবাদের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ নিয়ে ক্ষোভে বুধবার বিকালে ম'র্মা'ন্তিক এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।

ওসি আব্দুল হালিম জানান, পু'লিশের ক্রা'ইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নমুনা সংগ্রহের পর লা'শগুলো উ'দ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে লা'শগুলো ময়নাত'দন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ম'র্গে পাঠানো হবে।

তবে ঘটনাটি পারিবারিক কলহের জেরে নাকি অন্য কোনো কারণে ঘটেছে এ ব্যাপারে পু'লিশ ত'দন্ত অব্যাহত রেখেছে বলে জানান ওসি।

Back to top button