আমই নেই আ'মের জিলাপিতে! ধোকা খেল সাধারণ মানুষ

রাজশাহীতে ‘রসগোল্লা’ রেস্টুরেন্টের কাঁচা আ'মের জিলাপিতে আম নয়, বরং রঙ আর ফ্লেভা'র যু'ক্ত করে জিলাপি তৈরি করা হচ্ছিলো। প্রমাণ মেলায় শুক্রবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান মা'রুফ অ'ভিযান চালিয়ে রসগোল্লার মালিক আরাফাত রুবেলকে ২৫ হাজার টাকা জ'রিমানা করেছেন।

ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক হাসান মা'রুফ বলেন, ‘রসগোল্লায় শুভকংরের ফাঁকি। তারা বিজ্ঞাপন প্রচার করছে ‘কাঁচা আ'মের জিলাপি’ বলে। আসলে তাতে কোনো আম নেই। ফুডগ্রেড রঙ আর আ'মের ফ্লেভা'র যু'ক্ত করা হচ্ছিলো।’

তিনি আরও বলেন, ১০ দিন আগে থেকেই তারা কাঁচা আ'মের জিলাপির ব্যবসা শুরু করেছেন। তখন রাজশাহীতে আ'মের গুটি খুবই ছোট ছিলো। কেবল মুকুল থেকে মটরদানা হয়েছে। এর কোনো স্বাদও ছিলো না। কাঁচা আম না বলে বলতে হতো কাঁচা আ'মের স্বাদ বা ফ্লেভা'র যু'ক্ত জিলাপি।

তারা এটা না বলে সরাসরি বলেছে, ‘কাঁচা আ'মের জিলাপি’। এটা করে তারা ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এর রঙটাও বৈধ পথে এসেছে কিনা স'ন্দেহ আছে। নতুন উদ্যোক্তা হওয়ায় ২৫ হাজার টাকা জ'রিমানা করে তাকে সতর্ক করে বলেছি, ‘আ'মের স্বাদ বা ফ্লেভা'র যু'ক্ত বলতে হবে। কাঁচা আ'মের জিলাপি বলে প্রতারণা করা যাবে না।’

এ জ'রিমানার পর আরাফাত রুবেল তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন, ‘কাঁচা আ'মের জিলাপি নয়, কাঁচা আ'মের স্বাদের/ ম্যাংগো ফ্লেভা'র জিলাপি।’ জানতে চাইলে আরাফাত রুবেল বলেন, ‘আমাদের জিলাপিতে আ'মের ফ্লেভা'র ও রঙ ব্যবহার হতো।

সঙ্গে আমও ব্যবহার হতো। তবে ভ্রাম্যমাণ আ'দালত আ'মের সাইজ দেখে খুশি হতে পারেননি। তাছাড়া কাঁচা আ'মের জিলাপি বলতে হলে শুধু কাঁচা আমই ব্যবহার করতে হবে। আম'রা তা করিনি। বিজ্ঞাপন বা প্রচারণায় ভুল করায় আমাদের ২৫ হাজার টাকা জ'রিমানা করেছেন।’

Back to top button