সেই ‘বেত্রাঘাত’ নিয়ে মুখ খুললেন মেয়র আরিফ

সিলেট নগরীর ব্যস্ততম এলাকা চৌহাট্টা। ওই এলাকার একটি সড়কে ভ্যান দাঁড় করিয়ে দোকানে সিগারেট দিচ্ছেন রুবেল আহম'দ নামে এক যুবক। এ সময় সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই সড়ক দিয়ে। গাড়ির সামনে বসা অবস্থায় সড়কে ভ্যান দেখতে পেয়ে থামেন। গাড়ির ভেতর বসে বেত দিয়ে ওই ভ্যানচালককে আ'ঘাত করেছেন বলে অ'ভিযোগ উঠেছে। বেত হাতে মেয়রের এমন ছবি যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পাওয়ার পর এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।

ঘটনাটি শনিবার (২৩ এপ্রিল) ঘটলেও রবিবার (২৪ এপ্রিল) এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে মেয়র আরিফ বলেন, ‘নগরীকে সাজাতে অনেক ক'ষ্ট করে যাচ্ছি দিনরাত। সেই সঙ্গে যানজট নিরসনের পাশাপাশি সড়কে জনভোগান্তি কমাতে সিটি করপোরেশনে নিয়োগ করা জনবলের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক পু'লিশ। তবুও হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

বেত্রাঘাতের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘সড়কে ভ্যান রাখায় ওই যুবককে আমি ভ'য় দেখিয়েছি। তাকে পে'টানোর কোনও প্রশ্ন আসে না। এখানে আমা'র বি'রুদ্ধে অ'পপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই সত্য নয়। সিসি ফুটেজ ভালো করে দেখলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে- কী' হয়েছিলো সেদিন। আমি গাড়ি থামিয়ে তাকে ধমক দেওয়ার পর ভ'য় দেখানোর জন্য হাতে বেত নিয়েছি। তখন সে ভ'য়ে হাত সামনে নিয়ে এসেছে। অথচ সেটাকে বলা হলো আমি বেত্রাঘাত করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে ভ্যান রাখার কারণে অন্যরাও রাখবে। সে জন্য আমি ধমক দিয়েছি, যাতে চলে যায়। ভ্যানচালকও তার ভুল স্বীকার করেছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে নগরীর চৌহাট্টার দিকে মেয়র আরিফের গাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় সিগারেট কোম্পানির ভ্যানচালক রাস্তার পাশের দোকানে সিগারেট ডেলিভা'রি দিতে যান। ভ্যানটি পার্কিং দেখে মেয়র গাড়ি থামিয়ে চালককে ডেকে নেন। এ সময় মেয়রের গাড়ির পাশে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিটি করপোরেশনের কর্মীও লা'ঠি হাতে অবস্থান নেন। পরে মেয়র নিজের গাড়িতে বসে লা'ঠি বের করে ভ্যানচালকের হাতে আ'ঘাত করেন এবং পার্কিংয়ের জন্য তাকে শাসিয়ে দেন। এই ঘটনার সময় মেয়রের গাড়ি বহরে থাকা আনসারের সদস্যও পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

Back to top button