গোল দিয়ে তেলের বোতল নয়, যেন বিশ্বকাপ জিতে গেলেন তাঁরা

এভা'রটনকে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-০ গোলে পরাজিত করে টেবিলের শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির থেকে পয়েন্টের ব্যবধান এক’এ নামিয়ে এনেছে লিভা'রপুল। এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যামকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে চেলসি।

এ্যানফিল্ডে মা'র্সিসাইড ডার্বিতে জার্গেন ক্লপের দলকে এভা'রটনের শক্তিশালী রক্ষনভাগ ভাঙ্গতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে স্কটিশ ডিফেন্ডার এ্যান্ড্রু রবার্টসনের গোলের আগ পর্যন্ত এভা'রটনের পোস্টে একটি ভাল শটও নিতে পারেনি রেডসরা। ডিভোক ওরিগির শেষ মুহূর্তের গোলে শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত জয় লিভা'রপুলের। এই জয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটির উপর চাপ অব্যাহত রাখলো লিভা'রপুল। শনিবার ওয়াটফোর্ডকে ৫-১ গোলে বি'ধ্বস্ত করে চার পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল সিটিজেনরা।

লিগ শেষ করতে লিভা'রপুল ও সিটি উভ'য় দলের হাতেই রয়েছে পাঁচটি করে ম্যাচ। মৌসুমের শেষভাগে এসে তাই শিরোপা ল'ড়াইটাও দারুন জমে উঠেছে। এক মৌসুমে চারটি শিরোপা জয় করে প্রথমবারের মত কোন ইংলিশ ক্লাব হিসেবে কোয়াড্রাপল জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে লিভা'রপুল। বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে তাদের প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল।

এদিকে ১৯৪৮ সালের পর প্রথমবারের মত টানা আট এ্যাওয়ে ম্যাচে পরাজিত হয়ে এভা'রটন রেলিগেশন শ'ঙ্কায় পড়েছে। দিনের শুরুতে উল্ফসের বিপক্ষে বার্নলির ১-০ গোলের জয়ের ফলে ফ্রাংক ল্যাম্পার্ডের দল ইতোমধ্যেই রেলিগেশন জোনে চলে গেছে। বার্নলির থেকে দুই পয়েন্টে পিছিয়ে বর্তমানে ১৮তম স্থানে রয়েছে এভা'রটন। যদিও হাতে একটি ম্যাচ বেশী রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের রক্ষা করতে না পারলেও ১৯৫৪ সালের পর প্রথমবারের মত দ্বিতীয় টায়ারে নেমে যাবে এভা'রটন।

৪৭ পয়েন্টের ব্যবধান নিয়ে কাল মাঠে নেমেছিল লিভা'রপুল ও এভা'রটন। লিগে প্রতিপক্ষ দুই দলের মধ্যেই এটাই সবচেয়ে বড় পয়েন্টের পার্থক্য। যদিও ম্যাচের শুরু থেকেই লিভা'রপুলকে হতাশ করতে থাকে এভা'রটন। কোনভাবেই প্রতিপক্ষের রক্ষনভাগকে ভাঙ্গতে পারছিলনা ক্লপের আক্রমনভাগ। উল্টো রিচারলিসনের পাস থেকে আবদুলায়ে ডোকুরের শট অল্পের জন্য এভা'রটনকে এগিয়ে যেতে দেয়নি।

ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল দ্বিতীয়ার্ধে রেডসের বেলজিয়ান স্ট্রাইকার ওরিগির অন্তর্ভূক্তি। ৬২ মিনিটে মোহাম্ম'দ সালাহর সাথে মিলে ওরিগির দারুন এক পাসে হেডের সাহায্যে লিভা'রপুল শি'বিরে স্বস্তি এনে দেন রবার্টসন। মৌসুমে এটি রবার্টসনের দ্বিতীয় গোল। এভা'রটনের বিপক্ষে নিয়মিত গোল পাওয়া ওরিগির গোলেই শেষ পর্যন্ত লিভা'রপুলের জয় নিশ্চিত হয়। ৮৫ মিনিটে পোস্টের খুব কাছে থেকে ওরিগির হেডে ব্যবধান দ্বিগুন করে স্বাগতিকরা। এনিয়ে শেষ ১৩টি লিগ ম্যাচের ১২টিতেই জয়ী হলো লিভা'রপুল।

স্টামফোর্ড ব্রীজের উত্তে'জনাপূর্ণ ম্যাচটিতে কোনভাবেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না স্বাগতিক চেলসি। উল্টো ৮৮ মিনিটে জর্জিনহোর পেনাল্টি ওয়েস্ট হ্যাম গোলরক্ষক লুকাস ফ্যাবিনিয়াস্কি রুখে দিলে ম্যাচটি নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে আসা ক্রিস্টিয়ান পু'লিসিচ বরাবরের মতই চেলসির হয়ে আরো একবার নিজেকে প্রমান করেছেন। শেষ মিনিটে যু'ক্তরাষ্ট্রের এই মিডফিল্ডারের গোলে চেলসির তৃতীয় স্থান মজবুত হয়েছে। এই জয়ে পঞ্চ'ম স্থানে থাকা টটেনহ্যামের থেকে চেলসি সাত পয়েন্টের সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষ চারে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত করেছে।

এর আগে বুধবার আর্সে'নালের কাছে ৪-২ গোলের পরাজয়ের মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের পর প্রথমবারের মত ঘরের মাঠে টানা তিন লিগ ম্যাচে হারের স্বাদ পেয়েছিল ব্লুজরা। আর এতেই শীর্ষ চার থেকে নেমে যাবার শ'ঙ্কাও তৈরী হয়েছিল। ৮৭ মিনিটে রোমেলু লুকাকুকে আ'ট'কাতে গিয়ে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসে ক্রেইগ ডওসন। এই ঘটনায় তাকে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখানো হলেও ভিএআর চেকের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত তিনি লাল কার্ড পেয়ে মাঠত্যাগ করেন। কিন্তু স্পট কিক থেকে জর্জিনহোর দূর্বল শটটি সহ'জেই রুখে দেন ফ্যাবিয়ানিস্কি। ৯০ মিনিটে মা'র্কোস আলোনসোর ক্রস থেকে ১০ গজ দুর থেকে লো ফিনিশিংয়ে চেলসিকে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট উপহার দেন পু'লিসিচ।

ম্যাচ শেষে চেলসি বস থমাস টাচেল বলেছেন, ‘অনেক বড় একটি ধাপ পার করতে সক্ষম হয়েছি। এই জয়টা খুবই জরুরী ছিল। আজ আমাদের ভাগ্য সহায় ছিল।’

টার্ফ মুরে ওট ওয়েগহর্স্টের ক্রস থেকে মাতে ভিড্রার ৬২ মিনিটের গোলে উল্ফসকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে টেবিলের ১৭তম স্থানে উঠে এসেছে বার্নলি। দীর্ঘ ১০ বছরের কোচ সিন ডিক্লানের বরখাস্তের পর অন্তর্বর্তীকালীণ কোচ মাইক জ্যাকসনের অধীনে বার্নলি তিন ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট অর্জন করে প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকার পত সুগম করেছে।

আরেক ম্যাচে জেমস ওয়ার্ড-প্রাউসের জোড়া গোলে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ব্রাইটনের সাথে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাউদাম্পটন। সূত্র: বাসস

Back to top button