আম ছাড়াই তৈরি হচ্ছিল জুস
বগুড়ার শাজাহানপুরে একটি নকল জুস কারখানায় অ'ভিযান চালিয়েছে পু'লিশ। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নকল জুসসহ কারখানার মালিক ও ১১ জন কর্মচারীকে গ্রে'প্তার করা হয়েছে। এ সময় জুস তৈরির মেশিন, কাঁচামাল, কেমিক্যাল জ'ব্দ করা হয়।
গ্রে'প্তাররা হলেন কারখানার মালিক বগুড়ার গাবতলী উপজে'লার মাড়িয়া গ্রামের সেলিম খান (৩৫)। তিনি বর্তমানে বগুড়া সদর উপজে'লার মালগ্রাম আব্দুল্লাহ মোড় এলাকায় আলফাজ আলীর বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।
কর্মচারীরা হলেন আব্দুর রহিম (৩৩), রমজান আলী (২০), রায়হান আলী (২০), সাজেদা বেওয়া (৪৫), শাহিনুর বেগম (৪০), রাজিয়া সুলতানা (৩৮), ইয়াসমিন আক্তার রেশমা (২২), মালা আকতার মিম (২২), রেহেনা পারভীন (৪৫), রাশেদা বেগম (৫০), পারভীন বেগম (৫০)।
এ ঘটনায় মা'মলা দায়ের শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে গ্রে'প্তারদের আ'দালতের মাধ্যমে জে'লহাজতে পাঠিয়েছে পু'লিশ।
শাজাহানপুর থা'নার এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজে'লার আশেকপুর ইউনিয়নের জোড়া মন্ডলপাড়া এলাকায় টহল দেওয়ার সময় একটি বাড়ির সামনে দুই-তিনটি ভ্যান, অটোটেম্পু দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তারা। এ সময় পু'লিশকে দেখে দুজন লোক দৌড়ে পালিয়ে যায়। এতে স'ন্দেহ হলে থা'নার ভা'রপ্রাপ্ত কর্মক'র্তা (ওসি) বিষয়টি জানানো হয়। পরে ফোর্সসহ এসে ওই বাড়িতে অ'ভিযান পরিচালনা করে ‘ফ্রুটিক্স’ নামের আ'মের নকল জুস ও আইস ললি তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, সেখান থেকে কারখানার মালিক বাচ্চু শেখসহ ১১ জন কর্মচারীকে গ্রে'প্তার করা হয় এবং বিপুল পরিমাণ নকল জুস তৈরির কাঁচামাল, কেমিক্যাল ও মেশিন জ'ব্দ করা হয়। গ্রে'প্তার সেলিম খান জোড়া মন্ডলপাড়া গ্রামের সোহেল রানা ওরফে সোহেল মাস্টারের (৪৫) বাসা ভাড়া নিয়ে দুজনে যোগসাজসে নকল জুসের ব্যবসা করে আসছেন। এ ঘটনায় কারখানার মালিক সেলিম খান ও বাসার মালিক সোহেল রানা ওরফে সোহেল মাস্টারসহ ১৩ জনকে আ'সামি করে মা'মলা দায়ের করা হয়েছে। বাসার মালিক সোহেল মাস্টার পলাতক রয়েছেন।
শাজাহানপুর থা'নার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই চক্রটি ড্রা'গন ফুড অ্যান্ড বেভা'রেজ বাংলাদেশ লিমিটেড, বগুড়া নামে একটি কারখানা স্থাপন করে ফ্রুটিক্স নামে আ'মের নকল জুস তৈরি করে বাজারজাত করছিলেন। গ্রে'প্তার ব্যক্তির বি'রুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মা'মলা দায়ের শেষে তাদের আ'দালতের মাধ্যমে জে'লহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।