ঈদের জামা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে হাসি-খুশিকে হ'ত্যা করেছে বাবা!
ঈদের জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে দুই মে'য়েকে হ'ত্যার পর হ'ত্যার পর লা'শ নদীতে ফেলে পালিয়েছে বাবা। রোববার (১ মে) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর পাশে এ ঘটনা ঘটেছে। নি'হতের মা আদুরী বেগম এ অ'ভিযোগ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজে'লার কানি চরিতাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর রহমান দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর আগে বিয়ে করেন কুড়িগ্রাম জে'লার উলিপুর উপজে'লার বজরা গ্রামে আদুরী বেগমকে। বিয়ের পর থেকে দুজনের সংসারে খুঁটিনাটি বিষয়ে অশান্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাদের দুটি মে'য়ে সন্তানের জন্ম হয়। একজনের নাম হাসি (১২) অন্যজনের নাম খুশি (১৩)।
মে'য়ে জন্মের পর তাদের পারিবারিক কলহ আরো বেড়ে যায়। অবশেষে স্বামী-স্ত্রী'র মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় হামিদুল ইস'লাম তার স্ত্রী'কে তালাক দেন। বাধ্য হয়ে মে'য়ে দুটিকে নিয়ে তার মা আদুরী বেগম পিতার বাড়ি কুড়িগ্রামের বজরা গ্রামে আশ্রয় নেয়।
কিন্তু তাদের মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হতো। এই সূত্র ধরে দুই দিন আগে হামিদুল উলিপুরের বজরা গ্রামে যায় এবং আদুরী বেগমের কাছ থেকে দুই মে'য়েকে ঈদের পোশাক কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে আসে। দুদিন নি'খোঁজের পর আজ দুপুরে সুন্দরগঞ্জের হরিপুর গ্রামের তিস্তা নদীর পাড়ে ওই দুই মে'য়ের মৃ'তদেহ ভেসে থাকতে দেখে গ্রামবাসী পু'লিশে খবর দেয়। পু'লিশ বিকেলে লা'শ উ'দ্ধার করে ম'র্গে পাঠায়।
সুন্দরগঞ্জ থা'নার ওসি ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, ঘটনাটি হ'ত্যাকা'ণ্ড হতে পারে। কারণ তার বাবা হামিদুল ঘটনার দুই দিন আগে তার বাড়িতে গিয়ে মে'য়ে দুজনকে ঈদের কাপড় দেওয়ার কথা বলে সুন্দরগঞ্জে ডেকে নিয়ে আসেন। সেই থেকে তারা ছিলেন নি'খোঁজ। আজ তাদের লা'শ উ'দ্ধারের পর থেকে তার পিতা হামিদুলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।