স'ন্দেহের বশে এলমা'র চুলও কে'টে দেওয়া হয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ছা'ত্রী এলমা চৌধুরী মেঘলাকে (২৬) হ'ত্যার অ'ভিযোগে করা মা'মলায় স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে গ্রে'প্তার করে তিন দিনের রি'মান্ডে নিয়েছে পু'লিশ। পু'লিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নি'র্যাতনের কথা স্বীকার করলেও হ'ত্যার কথা অস্বীকার করছেন ইফতেখার। মেঘলার ম'রদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী তার শরীরের ৯ জায়গায় আ'ঘাতের জ'খম পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ম'র্গে মেঘলার ম'রদেহের ময়নাত'দন্ত হয়েছে। এরপর স্বজনরা লা'শ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ঢাকার ধাম'রাইয়ের পাটানটুলায় দাফন করেন। এই ঘটনার পর থেকেই মেঘলার শ্বশুর-শাশুরি পলাতক রয়েছেন।

জানা গেছে, এলমা'র সাথে বিয়ের তিন-চার মাস পর স্বামী ইফতেখার আবারো কানাডা চলে যায়। এরপর থেকেই শুরু হয় এলমাকে স'ন্দেহ। ইফতেখারের স'ন্দেহ ছিল এলমা'র সাথে কারো পর'কী'য়া রয়েছে। এই স'ন্দেহে এলমা'র ওপর শুরু করে মানসিক নি'র্যাতন। তাকে কারো সাথেই যোগাযোগ করতে দিতো না। এমনকি পরিবারের সাথেও না। এলমা'র মা'থায় লম্বা চুল ছিল। শখ করেই তিনি এই চুল রেখেছিলেন। কিন্তু স্বামী আর শ্বশুরপক্ষের স'ন্দেহ ছিল- তার অন্যত্র স'ম্পর্ক রয়েছে। এজন্য সৌন্দর্য নষ্ট করতে স্বামী ইফতেখার আবেদীন শাওন তার চুল কে'টে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, পড়ালেখা বন্ধ করারও চাপ দেওয়া হয়। তা না পেরে মে'য়েটিকে স'ন্দেহ করে চালানো হতো নি'র্যাতন।

এলমা'র পরিবার, সহপাঠী ও শিক্ষকরা অ'ভিযোগ করেছেন, তাকে নি'র্যাতন করে হ'ত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় এলমা'র বাবা সাইফুল ইস'লাম চৌধুরী বাদী হয়ে ইফতেখার, তার মা শিরিন আমিন ও ইফতেখারের পালক বাবা মো. আমিনকে আ'সামি করে হ'ত্যা মা'মলা করেছেন। পু'লিশ মঙ্গলবার রাতেই ইফতেখারকে আ'ট'ক করলেও গতকাল বুধবার ওই মা'মলায় তাকে গ্রে'প্তার দেখানো হয়।

মা'মলার এজাহারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলে এলমা'র সঙ্গে ইফতেখারের বিয়ে হয়। এর পরই ইফতেখার ও তার মা-বাবা তার পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বলেন। এলমা পড়া বন্ধ করতে না চাওয়ায় তাকে শারীরিকভাবে নি'র্যাতন করা হতো। বিয়ের তিন মাস পর ইফতেখার কানাডায় চলে যান। ১২ ডিসেম্বর তিনি ফিরে আসেন। এরপর ফের শুরু হয় নি'র্যাতন। এলমা'র বাবা বলেন, ইফতেখার ও তার স্বজনের স'ন্দেহ'জনক আচরণ দেখে মে'য়ের লা'শ যাচাই করে দেখেন তারা। তখন এলমা'র নাকে, ওপরের ঠোঁটে, পিঠের ডান পাশে, বাঁ কানসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জ'খমের চিহ্ন দেখতে পান। ইফতেখার ও তার বাবা-মা মিলে পরিক'ল্পিতভাবে মে'য়েকে মা'রধর করে হ'ত্যা করেছে।

বনানী থা'নার ওসি নূরে আযম মিয়া জানান, সুরতহালে এলমা'র শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আ'ঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অ'পর দুই আ'সামিকেও গ্রে'প্তারের চেষ্টা চলছে।

Back to top button