আগের এলসি করা গমও বাংলাদেশকে দিচ্ছে না ভা'রত
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভা'রত থেকে অন্য সব পণ্য আম'দানি স্বাভাবিক থাকলেও টানা ৭ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে গম আম'দানি। আম'দানি বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। ভা'রত অভ্যন্তরে জটিলতা থাকায় পুরোনো এলসি’র গমও ভা'রত পাঠাচ্ছে না বলে অ'ভিযোগ আম'দানিকারকদের।
গত ১২ মে অভ্যন্তরীণ বাজারে গমের দাম বাড়া ঠেকাতে রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভা'রত সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞার আগ পর্যন্ত জারি করা ক্রেডিটপত্রের গম রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে। এরপর ১৬ মে ভা'রতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বি'জ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ‘আগে চুক্তি হয়ে থাকলে সেই গম রফতানিতে বাধা নেই। তাছাড়া, প্রতিবেশী দেশগুলোও ভা'রত থেকে গম নিতে পারবে।’
কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই ঘটছে না। গত ৭ দিন ধরে বাংলাদেশের কোনো আম'দানিকারক ভা'রত থেকে গম বুঝে পাননি। তারা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই গম আম'দানির এলসি করা হয়েছিল। কিন্তু ভা'রত থেকে সেসব গমও পাঠানো হচ্ছে না।
এদিকে গম আম'দানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার, অন্যদিকে দৈনিক আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হিলি পানামা পোর্ট।
গম না পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর আম'দানি-রফতানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি শাহিনুর রেজা শাহিন। তিনি বলেন, ‘গত ১২ মে ভা'রত সরকার গম রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে দেয়। তবে ১২ তারিখের আগের এলসি করা গম রফতানি করার কথা থাকলেও সেটিও এখন দিচ্ছে না দেশটি। ফলে গত ২০ মে থেকে আজ পর্যন্ত কোন গম আম'দানি হয়নি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গম আম'দানি বন্ধ থাকায় আমাদের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মক'র্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ভা'রত সরকার গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরেও কম-বেশি এই বন্দর দিয়ে গম আম'দানি হয়েছিল। তবে গত ২০ মে এর পর থেকে হিলি স্থলবন্দরে কোনো গম আম'দানি হয়নি। আম'দানি না হওয়ার ফলে বন্দর তাদের দৈনন্দিন আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারও রাজস্ব পাচ্ছে না।’