‘মেয়ের জন্য পিঠা নিয়ে যাচ্ছিলাম, ফিরছি স্ত্রী'-বোনের ম'রদেহ নিয়ে’

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতা'লের সাত নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডের মেঝেতে শুয়ে বসে কথাগুলো বলছিলেন সড়ক দুর্ঘ'টনায় নি'হত রেজিয়া বেগমের স্বামী তোতা মিয়া। এ সময় তিনি বলেন, ‘মেয়ের বাসায় পিঠা নিয়ে যাচ্ছিলাম। এখন স্ত্রী' আর বোনের ম'রদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে।’

সোমবার (১৩ মা'র্চ) হাসপাতা'লে এ দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে রোববার (১২ মা'র্চ) রাত ২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাঙামাটি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একই দুর্ঘ'টনায় নি'হত হয়েছেন তার বোন দুলেনা বেগম।

তোতা মিয়ার পাশে বসে মায়ের জন্য আহাজারি করছিলেন তাদের মে'য়ে শিখা আক্তার। এ সময় তিনি বলছিলেন, ‘মায়ের হাতের পিঠা আর খাওয়া হলো না। শেষ কথাটা হলো না। মা আর ফুপু এভাবে চলে যাবে ভাবতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, আমি আর আমা'র স্বামী গার্মেন্টসে কাজ করি। ঢাকার শাহাদাতপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি। আমা'র ছে'লে ইয়াসিন মা-বাবার সঙ্গে থাকে। ইয়াসিনকে সঙ্গে নিয়ে বাবা-মা ও ফুপুসহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে একটি মাইক্রোবাসে করে রোববার রাত ১০টার দিকে রওনা দেন। পরে একই দিন রাত ২টার দিকে সংবাদ পাই মাইক্রোবাসটি খাদে পড়ে সিলিন্ডার বি'স্ফোরণ হয়ে মা-ফুপু নি'হত হয়েছেন। এ সময় আমা'র ছে'লে ও বাবা আ'হত হয়।

তোতা মিয়া জানান, রোববার রাত ১০টায় মেয়ের বাসা ঢাকায় যাওয়ার জন্য আমা'র স্ত্রী' রেজিয়া, ছোট বোন দুলেনা বেগম ও নাতি ইয়াসিনকে সঙ্গে নিয়ে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার মুন্সিরহাট থেকে মাইক্রোবাসে করে রওনা হই। ত্রিশাল পার হওয়ার পর রাত ২টার দিকে একটি যাত্রীবাহী বাস মাইক্রোবাসটিকে ওভা'রটেক করতে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এরপর সিলিন্ডার বি'স্ফোরণ হয়ে আমা'র স্ত্রী', ছোট বোন দুলেনাসহ চারজন নি'হত হন। আম'রা অনেকেই আ'গুনে দ'গ্ধ হয়ে হাসপাতা'লে ভর্তি হই।

উল্লেখ্য, রোববার রাত ২টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালের রাঙ্গামাটি এলাকায় ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস খাদে পড়ে সিলিন্ডার বি'স্ফোরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের দুই নারীসহ চারজন নি'হত হন। এ সময় আ'হত হয়েছেন আরও সাতজন।

Back to top button