জন্ম'দিনে সুবর্ণা মু'স্তাফাকে নিয়ে যা বললেন স্বামী
ন্দিত অ'ভিনেত্রী সুবর্ণা মু'স্তাফা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অ'ভিনয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অ'ভিনয়ের আঙিনায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন একুশে পদকজয়ী অ'ভিনেত্রী সুবর্ণা মু'স্তাফা। বাংলাদেশের নাট্যজগতে বিশেষ ম'র্যাদার স্থান অধিকার করে আছেন তিনি। আশির দশকে ছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অ'ভিনেত্রী।
বিশেষ করে আফজাল হোসেন, হু'মায়ুন ফরীদি ও আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে তার জুটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল আশি-নব্বই দশকে। সেই সঙ্গে হু'মায়ূন আহমেদের নাট'ক ও চলচ্চিত্রে দারুণ সব চরিত্রে কাজ করে সুবর্ণা পৌঁছে গিয়েছিলেন সব শ্রেণির মানুষের কাছে।
আজ এই গুণী অ'ভিনেত্রীর জন্ম'দিন। ১৯৫৯ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আশির দশকের জনপ্রিয় এই টিভি অ'ভিনেত্রী ৬২ বছরে পা রাখলেন।
বিশেষ দিনটিতে সুবর্ণা মু'স্তাফা দেশে নেই। বর্তমানে তিনি কানাডায় আছেন। তাই সবচেয়ে কাছের মানুষ অর্থাৎ তার স্বামী-নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের মন খা'রাপ। স্ত্রী'কে জন্ম'দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘মু'স্তাফা, তোমাকে খুব মিস করছি। শুভ জন্ম'দিন। দ্রুত আসো প্লিজ।’
স্বামীর প্রে'মময় বার্তায় জবাবও দিয়েছেন সুবর্ণা। মন্তব্য করেছেন, ‘আমিও তোমাকে অনেক বেশি মিস করছি। তোমাকে সবসময় ভালোবাসি।’
জন্ম'দিনে সুবর্ণা মু'স্তাফাকে যে বার্তা দিলেন স্বামী
সুবর্ণা মু'স্তাফার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। তবে তার পৈতৃক নিবাস ঝালকাঠি জে'লার দপদপিয়া ইউনিয়নে। তার বাবা ছিলেন খ্যাতিমান অ'ভিনেতা ও আবৃত্তিকার গো'লাম মু'স্তাফা। মা ছিলেন পা'কিস্তান রেডিওর একজন প্রযোজক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন। অ'ভিনয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। এ ছাড়াও ঢাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপি হয়েছেন তিনি।
প্রথমে মঞ্চে কাজ করলেও আশির দশকে টিভিতে অ'ভিষেক ঘটে সুবর্ণা মু'স্তাফার। মঞ্চ ও টিভি- দুই মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পান তিনি। তবে আলোচনায় আসেন ১৯৯০ সালে বিটিভিতে প্রচার হওয়া হু'মায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে বরকত উল্লাহর পরিচালনায় ‘কোথাও কেউ নেই’ নাট'কের মাধ্যমে।
এরপর ‘আজ রবিবার’ নাট'কটিতেও দর্শকদের মুগ্ধ করেন সুবর্ণা মু'স্তাফা। চলচ্চিত্রে তার অ'ভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী' পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’র মাধ্যমে। ১৯৯২ সালে ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ছবির মাধ্যমে সিনেমাপ্রে'মিদের মনে দোলা দেন তিনি।
এ ছাড়া ‘নয়নের আলো’ ছবিতে তার অ'ভিনয় সব শ্রেণির দর্শককে নাড়া দিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অ'ভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ সহ-অ'ভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান।