ছে'লের বই বাঁ'ধাইয়ে শৈশবে ফিরলেন চঞ্চল চৌধুরী
চোখ বুজে শৈশবে ফিরে গেলে সবার নাকেই ফিরে আসে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ। চোখে ভাসে বইয়ের রঙিন প্রচ্ছদ। সেই বই যাতে ছিঁড়ে না যায়, তার জন্য কত চেষ্টা। পুরনো ক্যালেন্ডার কে'টে কিংবা বাজার থেকে মোটা কাগজ কিনে এনে বইয়ের ওপর আলাদা মলাট লাগানোর অ'ভিজ্ঞতা কম-বেশি সবার জীবনেই আছে।
ফেলে আসা শৈশব চাইলেও ফিরে পাওয়া যায় না। কিন্তু নতুন প্রজন্মের মাঝে সেই অনুভবটুকু তো ছড়িয়ে দেওয়া যায়। সেটাই করলেন জনপ্রিয় অ'ভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। নিজের ছে'লের নতুন বইয়ের মলাট লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এর মাধ্যমে চঞ্চল যেমন ফিরে গেছেন তার চেনা শৈশবে, আবার অনুসারীদের মনেও স্মৃ'তির উসকানি দিয়েছেন। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ছে'লে শুদ্ধ’র সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করেন চঞ্চল। সেখানেই দেখা গেল, ফ্লোরে বসে নতুন বইতে মলাট লাগাচ্ছেন অ'ভিনেতা।
ক্যাপশনে চঞ্চল লিখেছেন, ‘অযথাই জীবনটাকে আম'রা অনেক বেশী জটিল করে ফেলেছি। সহ'জ সরল জীবনাচরণ থেকে সরে এসেছি বহু দূরে। প্রা'ণের আনন্দ মেলানোর মূহুর্তগুলো আম'রা এখন আর সহসা খুঁজে পাই না। তাই ছে'লের নতুন ক্লাসের বইয়ের মলাট লাগানোর উৎসবেও মাতোয়ারা থাকি। অন্যরকম সুখ, ভালো লাগার অন্যরকম অনুভূতি। ফিরে যাই শৈশবে। সকালের রোদে পিঠ দিয়ে, পিঠাপিঠি ভাইবোনের পুরাতন বইগুলোকে মলাট দিয়ে নতুন বানানোর উৎসবে।
চঞ্চল আরও লিখেছেন, ‘আগে জীবনে প্রা'ণ ছিল, শত দারিদ্র্যে সুখ ছিল, সেই সুখগুলো না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে।’
সন্তানদের একটুখানি আনন্দ দিতে পিতা-মাতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে চঞ্চল বলেছেন, ‘অন্তত সন্তানের নতুন ক্লাসের নতুন বইতে মলাট লাগানো হলো কিনা, খবরটা নিতে পারেন। আপনার ভালো লাগবে কিনা জানি না, আপনার সন্তানের কিন্তু ভালো লাগবে।’