যে কারণে খু.ন হন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী
বনানী ম'সজিদের পাশে ট্রা'ম্পস ক্লাবে উচ্চ শব্দে গান ও অ'নৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেছিলেন নায়ক সোহেল চৌধুরী। আর সেই প্রতিবাদই কাল হয়ে দাড়ায় তার জীবনে। প্রা'ণ দিতে হয় তাকে স'ন্ত্রাসীর গু'লিতে। দীর্ঘ ২৪ বছর পূর্বের চাঞ্চল্যকর এই হ'ত্যা মা'মলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত আ'সামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রে'প্তারের পর এই তথ্য জানিয়েছে র্যা'ব কর্মক'র্তারা।
সাল ১৯৯৬। বনানীর আবেদীন টাওয়ারে ট্রা'ম্পস ক্লাবের জন্ম। সেখানে সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত চলত নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। ক্লাবটি পরিণত হয় আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন ও গ্যাং লিডারদের আখড়ায়। ক্লাবের পাশেই বনানী জামে ম'সজিদ। জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ম'সজিদ কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ করলেন ক্লাবের অসামাজিক কার্যকলাপের বি'রুদ্ধে। শুরু হলো দ্বন্দ্ব। এর জের ধরে ১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্ম'দের সঙ্গে প্রকাশ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে গেল সোহেল চৌধুরীর। আজিজ সেসময় ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড চক্রগুলোর সঙ্গে মিটিং করতে নিয়মিত ওই ক্লাবে যেতেন। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সোহেলের ওপর প্রতিশোধ নিতে বান্টি ও আশীষকে অনুরোধ জানালেন। তারা সোহেলকে হ'ত্যা করার জন্য প্রস্তাব দেন শীর্ষ স'ন্ত্রাসী ইমনকে। প্রস্তাবে রাজি হন ইমন। সে বছর ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে ট্রা'ম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গু'লি করে হ'ত্যা করা হয়। সোহেল চৌধুরী হ'ত্যা মা'মলার আ'সামি আশীষ রায় চৌধুরী গ্রে'প্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এভাবেই হ'ত্যার কারণ বর্ণনা করেছেন বলে জানিয়েছে রেব।
রেব বলছে, আশীষ ও আসাদুল ইস'লাম ওরফে বান্টি ইস'লামের যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয় ট্রা'ম্পস ক্লাব। ক্লাবে যাতায়াতের সুবাদেই আজিজ মোহাম্ম'দ ভাইয়ের সঙ্গে তাদের সখ্য গড়ে ওঠে। এই তিনজন ক্লাব ব্যবহার করে সেসময় ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রেব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও রেব-১০ অ'ভিযান চালিয়ে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ মা'দকদ্রব্যসহ আশীষকে গ্রে'প্তার করে। সংস্থাটি বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কারণসহ সোহেল হ'ত্যায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন আশীষ।
রেব বলছে, গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে আশীষকে গ্রে'প্তারের অ'ভিযানে ২২ বোতল বিদেশি ম'দ, ১৪ বোতল সোডা ওয়াটার, ১টি আইপ্যাড, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, ২টি আইফোন ও ২ লাখ টাকা উ'দ্ধার করা হয়। রেব জানিয়েছে, গত ২৮ মা'র্চ আশীষের নামে গ্রে'প্তারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে কানাডায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এর আগেই তাকে গ্রে'প্তার করা হলো।