ম'সজিদুল হারামে ৪৫ বছর আজান দিয়ে ‘বেলাল’ উপাধি পেয়েছেন আহমাদ মোল্লা
ম'সজিদের মিনার থেকে দৈনিক পাঁচবার সুললিত কণ্ঠে ভেসে আসে আজানের সুমধুর ধ্বনি। মনোমুগ্ধকর সেই সুরলহরি মানুষকে সুরভিত করে এক নির্মোহ আনন্দে।
ম'সজিদুল হারামের মিনার থেকে ভেসে আসা সুমধুর আজানের ধ্বনি আশপাশের পাহাড়গুলোতে দৈনিক অন্তত পাঁচবার প্রতিধ্বনিত হয়। গত অর্ধ শতাব্দী ধরে যার কণ্ঠের আজান ম'ক্কার পাহাড়ে সবচেয়ে বেশি প্রতিধ্বনিত হয়েছে তিনি হলেন শায়খ আলি আহমাদ মোল্লা। টানা ৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ম'সজিদুল হারামে আজান দেয়ার কারণে তিনি ভূষিত হয়েছেন ‘বেলাল আলহারাম’ বা হারামের বেলাল এই উপাধিতে।
ম'সজিদুল হারামে আজান দেয়ার অনন্য এ ম'র্যাদা তার বংশীয় ঐতিহ্য। তার দাদা, বাবা, চাচা, চাচাতো ভাই, এমনকি সন্তানেরা মহান এই গৌরব অর্জন করেছেন।
দাদা আব্দুর রহমান মোল্লা সর্বপ্রথম হারাম শরিফের মুয়াজ্জিন হওয়ার পরম সৌভাগ্য লাভ করেন। এরপর তার বাবা শায়খ সিদ্দিক ও চাচা শায়খ আব্দুর রহমান এই ম'র্যাদাপূর্ণ পদে আরোহণ করেন। শায়খ আলি আহমাদ মোল্লা ১৯৭৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তার চাচাতো ভাই শায়খ আব্দুল মালিক মোল্লার ই'ন্তেকালের পর তিনি ম'সজিদুল হারামের মুয়াজ্জিনদের প্রধান শায়খ নির্বাচিত হন। তার অনন্য সুন্দর কণ্ঠের সুমধুর আজানের জন্য ‘বেলাল আল হারাম’ উপাধি পান।
ম'সজিদুল হারামে আজান দেয়ার ক্ষেত্রে তার মায়ের পরিবারেরও বংশীয় ঐতিহ্য রয়েছে। তার নানা আব্দুল্লাহ খাওজ এখানের মুয়াজ্জিন ছিলেন।
শায়খ আলি আহমাদ মোল্লা ১৯৭৫ সাল মোতাবেক ১৩৬৬ হিজ'রিতে জন্মগ্রহণ করেন। ম'সজিদুল হারামের চত্বরে শায়খ আশুরের কাছে তার অক্ষরজ্ঞান লাভ হয়। প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু করেন হারামের সীমানার মধ্যে অবস্থিত মাদরাসাতুর রহমানিয়্যা হতে। পরে আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে পড়ার পর ভর্তি হন মা’হাদ আল আসিমাহ আননামুজুজিয়্যায়। ১৩৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে এখান থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।