ডিউটির মাঝে রাস্তায় ছাত্র পড়াচ্ছেন পু'লিশ! প্রশংসার ঝড়
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ঝড়ের গতিতে ভাই'রাল হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে,
ভা'রতের কলকাতা পু'লিশের একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট রাস্তার ধারে পড়াচ্ছেন এক ছাত্রকে। তাঁর গায়ে উর্দি এবং পায়ে গেটার্স থাকায় বসতে সমস্যা হওয়ার কারণে, তিনি একটি গাছের সরু ডালের সাহায্যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই পড়ান ছে'লেটিকে। এভাবেই ট্রাফিকের পাশাপাশি ওই পড়ুয়ারও পড়াশোনা সামলাচ্ছেন তিনি।
প্রথমে এই ছবি সাংবাদিক অর্ণবাংশু নিয়োগী টুইট করেন নিজের টুইটার প্রোফাইল থেকে। এরপর সেটি কলকাতা পু'লিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা হয়। তারপর সেই ছবি ভাই'রাল হয়েছে ব্যাপক ভাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ভাই'রাল হওয়ার পর জানা গিয়েছে যে, সাউথ-ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট প্রকাশ ঘোষ, বালিগঞ্জ আইটিআইর কাছে ডিউটি করার সময় প্রতিদিনই একটি ছে'লেকে খেলাধুলা করতে দেখতে পান। ওই ছে'লেটির মা রাস্তার ধারের একটি খাবারের দোকানে কাজ করেন। কোনও মতে ফুটপাতেই দিন কাটে ওই মা এবং ছে'লের। এরপর সার্জেন্ট প্রকাশ ঘোষ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, ৮ বছর বয়সী ওই ছে'লেটি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছে'লের ভালো ভবিষ্যতের আশায় অ'ত্যন্ত ক'ষ্টের মধ্যেই তাকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন মা। এরপর থেকে সার্জেন্ট প্রকাশ ঘোষ নিজেই ছে'লেটিকে পড়ানো শুরু করেন।
ট্রাফিক সার্জেন্ট প্রকাশ ঘোষকে চিনতেন ছে'লেটির মা। একদিন তাঁর কাছেই ছে'লের পড়াশোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সমস্ত কিছু শুনে ওই ছে'লেটির পড়াশোনার সাহায্যে এগিয়ে আসেন প্রকাশ। যেদিন ওখানে ডিউটি থাকে তাঁর, সেদিন নিয়ম করে পড়াতে বসান ছে'লেটিকে। কোনও দিন ট্রাফিক সামলানোর ফাঁকে ফাঁকে, আবার কোনও দিন ডিউটি শেষ করেই চলে পড়াশোনার পর্ব। সেই সংক্রান্ত একটি ছবি ভাই'রাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যা দেখে ওই পু'লিশসদস্যকে সালাম জানাচ্ছেন সবাই। তাঁর এমন মহান কাজ সকলের মন জয় করে নিয়েছে।
সমাজের প্রতি এবং সমাজের মানুষের প্রতি পু'লিশের দায়িত্ব অ'পরিসীম। তাদের উপরেই নির্ভর করে সকলের সুরক্ষা। রাতদিন ডিউটি করে পু'লিশ আমাদের সুরক্ষা দিয়ে চলেছেন। এর মধ্যেই ট্রাফিক সার্জেন্ট প্রকাশ ঘোষ যে কাজ করে চলেছেন, তা নিঃস'ন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি ভাই'রাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, প্রায় ২২ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে ছবিটিতে। সকলের মন জয় করে নিয়েছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট প্রকাশ ঘোষ।
সূত্র: এই সময়