ধ্বংসস্তূপের নিচে মে'য়ের ম'রদেহ, হাত ধরে বসে আছেন বাবা

চারদিকে ধ্বংসস্তূপ আর মানুষের হাহাকার। একের পর এক লা'শ উ'দ্ধার করা হচ্ছে। দু-একজন জীবিত লোকও উ'দ্ধার হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপে স্বজনদের খোঁজ করছেন অনেকে। তুরস্কের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ১৫ বছরের মে'য়ে ইরমাকের হাত শুধু বের হয়ে আছে।

সেই হাত ধরে বসে আছেন বাবা মেসুত হানসার। তুরস্কের কাহরামানমা'রাস শহরের এই দৃশ্য ভূমিকম্পে বি'ধ্বস্ত এলাকাগুলোর করুণ পরিস্থিতির প্রতীকী' চিত্র হয়ে এসেছে।এরআগে, গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণ ও সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। এগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একের পর এক লা'শ বের করা হচ্ছে। এখনো যারা জীবিত আছেন, তাদের উ'দ্ধারে জো'র চেষ্টা চলছে। তবে বৈরী আবহাওয়া ও ভূমিকম্পে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উ'দ্ধারকর্মীরা সব জায়গায় যেতে পারছেন না।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এএফপির ফটোগ্রাফার অ্যাডাম আলতানের তুলে আনা কয়েকটি ছবি নাড়া দিয়েছে সবাইকে। ছবিগুলো খুবই হৃদয়বিদারক। সেগুলোতে উঠে এসেছে বাবার আর্তনাদের ছবি, প্রকৃতির কাছে মানুষের বারবার অসহায়ত্বের চিত্র। তুরস্ক ও সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। তিনি বলেন, জীবন বাঁ'চাতে সময়ের সঙ্গে ল'ড়াইয়ের সময় এখন। প্রতিটি মিনিট, প্রতিটি ঘণ্টা চলে যাচ্ছে আর জীবিত মানুষকে উ'দ্ধারের সুযোগ কমে যাচ্ছে।

সত্যিকার অর্থেই এই পরিস্থিতি দেখা গেল তুরস্কের আনতাকিয়া শহরে। সেখানে একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে এক নারীর আর্তনাদ শোনা যায়। তিনি উ'দ্ধারকারীদের ডাকছিলেন। এর পাশেই বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক এক শি'শুর লা'শ দেখতে পান। সেখানে তখন বৃষ্টি পড়ছিল। স্থানীয় একজনের সঙ্গে ওই সাংবাদিকের কথা হয়।

ওই ব্যক্তি রয়টার্সের সাংবাদিককে বলেন, ‘ভবনের নিচে চাপা পড়া এমন অনেকেই চি'ৎকার করছে, সাহায্য চাইছে। কিন্তু কেউ আসছে না। আম'রা বি'ধ্বস্ত।’ সিরিয়ার হামা শহরে গতকাল কয়েকটি পরিবারের মৃ'ত স্বজনদের দাফন সম্পন্ন হয়। সেখানে দাহান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘প্রতিটি জায়গা এখন ভ'য়ংকর। আমি আমা'র জীবনে এমন দৃশ্য দেখিনি।’ সূত্র – ডেইলী মিরর

Back to top button