সেহরিতে যে খাবারগুলো গ্রহণ করবেন এবং যা পরিত্যাগ করবেন

প্রচণ্ড গরমের সময়ে হচ্ছে এবারের রোজা। তাই শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি, মৌসুমি ফল ও সবজি বা ঠাণ্ডা খাবারের পাশাপাশি আঁশজাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। অ'তিরিক্ত চিনিযু'ক্ত জুস বা খাবার না খেয়ে প্রাকৃতিক খাবার থেকে এনার্জি নেয়াই ভালো।

রোজার মাসে মাসে চা, কফি পানের মাত্রা কমাতে হবে। তা না হলে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ঘুমের সমস্যা হতে পারে। ভাজা'পোড়া ও অ'তিরিক্ত চর্বিযু'ক্ত তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে র'ক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, তাই এসব যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো।

তৈলাক্ত খাবার খেলে লিপিড প্রোফাইল খা'রাপ হয়ে যেতে পারে, মানে র'ক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে। যারা রোজায় চর্বিজাতীয় খাবার মেনে চলবেন, তারা এই ঝুঁ'কি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এমনকি যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে, এ নিয়ম মেনে চললে তারা ভালো হয়ে যেতে পারেন।

খাবার পরিমিত খেলে রোজায় সুস্থ থাকা যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যারা বিভিন্ন রোগে আ'ক্রান্ত, তারা অবশ্যই খাবার গ্রহণে সচেতন থাকবেন।

চলুন দেখে নেওয়া যাক সেহরিতে কী' খাবেন, কী' খাবেন না-

রমজানে সুস্থ থাকতে ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সেহরিতে পরিমিত খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেহরিতে সহ'জপাচ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। সেহরি খেতে হবে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে। চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে, যাতে বদহ'জম না হয়।

সেহরি অ'তিরিক্ত তেল, ঝাল, চর্বিজাতীয় খাবার মোটেও খাওয়া যাবে না। অনেকে মনে করেন, যেহেতু সারা দিন না খেয়ে থাকতে হবে, তাই সেহরির সময় প্রচুর খেতে হবে। এই ধারণা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কারণ, চার–পাঁচ ঘণ্টা পার হলেই খাদ্যগুলো পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে গিয়ে হ'জম হয়ে যায়। তাই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি না খাওয়াই ভালো বরং মাত্রাতিরিক্ত খেলে ক্ষতির আশ'ঙ্কাই বেশি।

সেহরিতে ভাতের সঙ্গে মিশ্র সবজি, মাছ অথবা মাংস খেতে পারেন। রাখতে পারেন দধিও। অনেকে ভাত খাওয়ার পর হালকা চিড়ার সঙ্গে দধি খান, এটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এতে পানির তৃষ্ণাও মেটে।

পিপাসা নিবারণ হয়, সেই পরিমাণ পানি নিজের অভ্যাস অনুযায়ী পান করতে হবে। দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং পানিশূন্যতার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়।

অনেকেই সেহেরির সময় একসঙ্গে বেশি পানি খেয়ে ফেলেন, এটা করা যাবে না। ইফতারের পর থেকে রাত পর্যন্ত অল্প অল্প করে পানি বা অন্যান্য তরল খেয়ে দেহকে আর্দ্র রাখতে হবে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করবেন।

অনেকে পানির পরিবর্তে লেমন অথবা রোজ ওয়াটার, শরবত, ভিটামিন ওয়াটারসহ নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত পানীয় পান করেন। এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদদের অ'ভিমত, রোজাদারদের শুধু বিশুদ্ধ পানি পান করাই ভালো। রোজাদারদের প্রচুর সবুজ শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন।

সেহরিতে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ভাতের সঙ্গে মিক্সড সবজি যেমন লাউশাক, মিষ্টিকুমড়া, শসা, পটোল, ঝিঙে, কচুশাক, কচু ইত্যাদি ১ কাপ, মাছ বা মুরগি ১ টুকরা, ডাল আধা কাপ, সঙ্গে দই বা লো ফ্যাট দুধ ১ কাপ খাওয়া যায়। সঙ্গে ১-২টি খেজুর খেলে সারাদিনের ক্যালরি পূরণ হবে।

এভাবে সেহরিতে খাবার গ্রহণ করলে রোজায় অ'সুস্থ হওয়ার ঝুঁ'কি অনেকাংশে কমে আসে। সবার উচিত একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস গড়ে তোলা এবং রোজা সঠিকভাবে পালন করা।

Back to top button