১৯ রমজানে ইফতার ও সেহরির সময়সূচি

রমজান রহমত-বরকতের মাস। এ মাসে প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক মু'সলমান নর-নারীর ওপর রোজা রাখা ফরজ। রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে শুরু হলো ইবাদতের মাস রমজান। ‘রমজান’ শব্দটি এসেছে আরবি ‘রমজ’ থেকে। এর অর্থ দহন বা পোড়ানো। আ'গুন যেমন কোনো জিনিসকে পুড়িয়ে ফেলে, ঠিক তেমনি রোজাও রোজাদারের পাপরাশি পুড়িয়ে ফেলে।

এই পবিত্র মাসের ইবাদত অন্য সব মাসের তুলনায় অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ও বৈশিষ্ট্যময়।

বৃস্পতিবার, ১৯ রমজান ১৪৪৩ হিজরী। ইস'লামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ঘোষিত ঢাকা ও তার পাশ্ববর্তী এলাকার জন্য ১৯ রমজানের ইফতার ও সেহরির সময়সূচিসহ রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া তুলে ধ'রা হলো-

> ইফতার (১৯ রমজান, ২১ এপ্রিল) – ৬:২৬ মিনিট।
> সেহরির শেষ সময় (১৯ রমজান, ২১ এপ্রিল) – ৪:০৯ মিনিট।

তবে অঞ্চলভেদে দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ ১১ মিনিট পর্যন্ত যোগ করে ও ১০ মিনিট পর্যন্ত বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সেহেরি ও ইফতার করতে হবে বলে জানিয়েছে ইস'লামিক ফাউন্ডেশন।

আবু হুরাই'রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি আনন্দ হচ্ছে যখন সে ইফতার করে। আরেকটি হচ্ছে যখন সে প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬৬)

ইফতারের দোয়া:

আরবি :

بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহু'ম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামা'র রাহিমিন।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমা'রই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমা'রই দেয়া রিযিজের মাধ্যমে ইফতার করেছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)

ইফতারের বাংলা নিয়ত: হে আল্লাহ তায়ালা, আমি আপনার নির্দেশিত মাহে রমজানের ফরয রোজা শেষে আপনারই নির্দেশিত আইন মেনেই রোজার পরিসমাপ্তি করছি ও রহমতের আশা নিয়ে ইফতার শুরু করছি। তারপর “বিসমিল্লাহি ওয়া’আলা বারাকাতিল্লাহ” বলে ইফতার করা।

রোজার নিয়ত-

সেহেরি খাওয়ার পর রোজা রাখার নিয়ত করতে হয়।

রোজা রাখার নিয়ত-
– نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
রোজা রাখার আরবি নিয়তের বাংলা উচ্চারণ- নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিং শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।

বাংলায় অর্থ: হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমজান মাসে তোমা'র পক্ষ থেকে ফরয করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অ'তএব তুমি আমা'র পক্ষ থেকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

বাংলায় নিয়ত: হে আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ’র ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমা'র পক্ষ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।

Back to top button