৬ ছাত্রকে পি'টিয়ে হ'ত্যা মা'মলায়: ১৩ জনের মৃ'ত্যুদ'ণ্ড
সাভা'রের আমিন বাজারে ডা'কাত স'ন্দেহে ৬ ছাত্রকে পি'টিয়ে হ'ত্যা মা'মলায় ৫৭ জনের রায় দিয়েছে আ'দালত। এর মধ্যে প্রধান আ'সামি মালেকসহ ১৩ জনককে মৃ'ত্যুদ'ন্ড দিয়েছে আ'দালত। বাকি ১৯ জনের যাব'জ্জীবন কারাদ'ণ্ড দিয়েছেন আ'দালত। অ'পর দিকে ২৫ জনকে খালাস দিয়েছে আ'দালত। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্বিতীয় অ'তিরিক্ত জে'লা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে, ভুক্তভোগী পরিবার প্রত্যাশা করতেছে রায়ে আ'সামিদের সর্বোচ্চ শা'স্তি হবে। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আম'রা অ'ভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছি। আ'সামিদের সর্বোচ্চ শা'স্তি হবে এমটাই আমাদের আশা। এই মা'মলার ৪১ আ'সামি কারাগারে আছেন। পলাতক রয়েছেন ১৬ আ'সামি।
গত ২২ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আ'সামিপক্ষের যু'ক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আ'দালত রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন। ওইদিন ৪১ আ'সামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৬ আ'সামি পলাতক রয়েছেন।এর আগে মা'মলা'টিতে ৫৪ জন সাক্ষী আ'দালতে সাক্ষ্য দেন।২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে সাভা'রের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলার চরে ডা'কাত স'ন্দেহে ছয় ছাত্রকে পি'টিয়ে হ'ত্যা করা হয়। নি'হতরা হলেন-ধানমন্ডির ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলা'শ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভা'র্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চ'মাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কাম'রুজ্জামান কান্ত। তাদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আ'হত হলেও প্রা'ণে বেঁচে যান।
ওই ঘটনার পর ডা'কাতরি অ'ভিযোগে বেঁচে যাওয়া আল-আমিনসহ নি'হতদের বি'রুদ্ধে সাভা'র মডেল থা'নায় ডা'কাতরি মা'মলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবাসয়ী আবদুল মালেক। এছাড়া পু'লিশ বাদী হয়ে অ'জ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আ'সামি করে সাভা'র মডেল থা'নায় আরেকটি মা'মলা করে। ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র্যা'বের অ'তিরিক্ত পু'লিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আ'দালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই দিনে ৬০ আ'সামির বি'রুদ্ধে অ'ভিযোগ গঠন করেন আ'দালত। এছাড়া ওউ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ভিকটিম আ-আমিনকে একই ঘটনায় ডা'কাতি মা'মলা থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়।মা'মলার চার্জশিটে বলা হয়, আ'সামিরা নিরীহ ছাত্রদের হ'ত্যার উদ্দেশ্যে মা'রধর করে জ'খম করে। পরবর্তীকালে হ'ত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ম'সজিদের মাইকে সবাইকে ডা'কাত আসার ঘোষণা দেয় এবং থা'নায় মিথ্যা মা'মলা দায়ের করে। বিভিন্ন দেশীয় অ'স্ত্র দিয়ে আ'ঘাত করে তাদের হ'ত্যা করা হয়।
মা'মলার আ'সামিরা হলেন- ডা'কাতি মা'মলার বাদী আব্দুল মালেক, সাঈদ মেম্বার, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেফু, নিহর ওরফে জমশের আলী, মীর হোসেন, মজিবর রহমান, কবির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রজুর আলী সোহাগ, আলম, রানা, আ. হালিম, আসলাম মিয়া, শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজীব হোসেন, হাতকা'টা রহিম, মো. ওয়াসিম, সেলিম মোল্লা, সানোয়ার হোসেন, শামসুল হক ওরফে শামচু মেম্বার, রাশেদ, সাইফুল, সাত্তার, সেলিম, মনির, ছাব্বির আহম্মেদ, আলমগীর, আনোয়ার হোসেন আনু, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নূর ইস'লাম, আনিস, সালেহ আহমেদ, শাহাদাত হোসেন রুবেল, টুটুল, অখিল, মাসুদ, নিজামউদ্দিন, মোখলেছ, কালাম, আফজাল, বাদশা মিয়া, তোতন, সাইফুল, রহিম, শাহ'জাহান, সুলতান, সোহাগ, লেমন, সায়মন, এনায়েত, হয়দার, খালেদ, ই'মান আলী, দুলাল ও আলম। মা'মলার বিচারকালে ৩ জন আ'সামি মা'রা যায়। বর্তমানে আ'সামির সংখ্যা ৫৭ জন।