দেশে ২৪ ঘন্টায় করো'নায় মৃ'ত্যু বেড়েছে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করো'নাভাই'রাসে ৬ জনের মৃ'ত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃ'ত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৯৯৫ জনে। এ সময়ে করো'না শনাক্ত হয়েছে ১৬৭ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৪৬ জনে।। আজ শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করো'নাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বি'জ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে করো'নাভাই'রাসের প্রথম সংক্রমণ ধ'রা পড়েছিল গত বছরের ৮ মা'র্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মা'র্চ দেশে প্রথম মৃ'ত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃ'ত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করো'না শনাক্ত হয়েছিল।
চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করো'নায় মৃ'তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃ'ত্যু হয়, যা মহামা'রির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃ'ত্যু।
বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃ'ত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃ'ত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃ'ত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করো'নাভাই'রাস মহামা'রিতে মৃ'ত্যুহীন দিন পার করেছে বাংলাদেশ।
এদিকে, করো'না ভাই'রাসে সংক্রমিত হয়ে সারা বিশ্বে মৃ'তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪৯ জন। বিশ্বে এই ভাই'রাসে আ'ক্রান্ত হয়েছে ২৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ৪৭৬ জন। করো'নাভাই'রাসে আ'ক্রান্ত ও প্রা'ণহানির পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে এই তথ্য জানা গেছে।
বিশ্বে করো'নায় আ'ক্রান্ত আবারও বাড়তেছে। এরই মধ্যে দৈনিক সংক্রমণের হিসেবে শীর্ষে রয়েছে যু'ক্তরাষ্ট্র । এদিকে এই ভাই'রাসে সবচেয়ে বেশি মৃ'ত্যু হয়েছে রাশিয়ায়। শুক্রবার বিশ্বে করোনায় আ'ক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৮১ হাজার ২৩৬ জন এবং এ রোগে মৃ'ত্যু হয়েছে ৭ হাজার ২৭১ জনের।
শুক্রবার করো'নায় রাশিয়ায় মা'রা গেছেন ১ হাজার ২৩৫ জন, দেশটিতে নতুন আ'ক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৯৩০ জন।। অ'পরদিকে যু'ক্তরাষ্ট্রে একদিনে আ'ক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৬২ জন এবং মৃ'ত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৯৫ জনের। শুক্রবার অবশ্য বিশ্বে করো'না থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৫ হাজার ৮৩৫ জন।