ঢাকা সিএমএইচে সফলভাবে কিডনী প্রতিস্থাপন করলেন চিকিৎসকরা
ঢাকা সিএমএইচে সোমবার একজন সে'নাসদস্যের কিডনী প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।
আই'এসপিআর থেকে পাঠানো এক বি'জ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।
সেন্টার ফর কিডনী ডিজিস এন্ড ইউরোলজী ঢাকা এর সনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক কাম'রুল হাসান এর তত্ত্বাবধানে সিএমএইচ ঢাকার নেফ্রোলজি ও ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল টিম উক্ত কিডনী প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেন। ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
উক্ত কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন মহাপরিচালক, সাম'রিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তর, কনসালট্যান্ট সার্জন জেনারেল, কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান জেনারেল, কমান্ড্যান্ট সিএমএইচ ঢাকা, চীফ ফিজিশিয়ান জেনারেল এবং চীফ সার্জন জেনারেল।
১৯৮২ সালে দেশে প্রথম কিডনী প্রতিস্থাপন সিএমএইচ ঢাকায় শুরু হয় এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল জহিরুল হক এর কিডনী প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে তার ফুপাতো ভাই মোঃ আব্দুর রশিদ তাকে কিডনী দান করেন।
অস্তিম পর্যায়ে কিডনী রোগ একটি জটিল দূরারোগ্য এবং ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগে নিয়মিত ডায়ালাইসিস অথবা কিডনী প্রতিস্থাপন করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। প্রতি বৎসর বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার এই ধরনের রোগী সংযু'ক্ত হচ্ছে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতেও এই রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচেছ। এ সকল রোগীর ৮০ শতাংশেরও বেশী যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মৃ'ত্যুবরণ করছেন। কিডনী প্রতিস্থাপনই হচ্ছে কিডনী অকেজো রোগীর সর্বত্তোম চিকিৎসা।
বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ৮টি সেন্টারের মাধ্যমে কিডনী প্রতিস্থাপন করা হয় যা বিপুল সংখ্যক রোগীর তুলনায় খুবই অ'প্রতুল। এ প্রেক্ষিতে আপাম'র জনসাধারনের দোরগোরায় স্বাস্থ্য সেবাকে পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ সে'নাবাহিনী প্রধানের দূরদর্শিতা ও সার্বিক সহযোগিতায় সিএমএইচ ঢাকায় একটি কিডনী প্রতিস্থাপন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।