ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেল
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র সারসংক্ষেপ আকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মক'র্তা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এদিন দুপুরের পর মুরাদ হাসানের পক্ষে তার পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দিয়ে আসেন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মক'র্তা মোহাম্ম'দ গিয়াস উদ্দিন। আগের দিন সোমবার অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ায় মুরাদ হাসানকে আজকের মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, নিজের বক্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে মুরাদ হাসান সোমবার চট্টগ্রামে চলে যান। সেখান থেকেই তিনি তার দপ্তরের কর্মক'র্তাদের মাধ্যমে আজ সকালে পদত্যাগপত্র তৈরি করেন। পরে সেটি সই করে ই-মেইলে তার দপ্তরের কর্মক'র্তাদের কাছে পাঠান। কিন্তু ওই পদত্যাগপত্রে তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদানের তারিখ ২০২১ সালের ১৯ মে উল্লেখ করেন। পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা তারিখটি ঠিক থাকলেও সালটি ভুল। তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে আসলে ২০১৯ সালের ১৯ মে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পরে অবশ্য সেটি সংশোধন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেয়া হয়।
এদিকে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে সমালোচিত ডা. মুরাদ হাসানকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়। ইতোমধ্যে জামালপুর জে'লা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।