অমিত সাহার ফাঁ'সি চান আবরারের মা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হ'ত্যা মা'মলায় ২০ জনের ফাঁ'সির আদেশ দিয়েছেন আ'দালত। এ ছাড়া এ মা'মলার পাঁচ আ'সামির যাব'জ্জীবন কারাদ'ণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কাম'রুজ্জামান বুধবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এ হ'ত্যা মা'মলায় রায় ঘোষণা করেন।

এই রায়ে আবরারের বাবা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও খুশি হতে পারেননি মা রোকেয়া খাতুন। তিনি বলেন, হ'ত্যাকা'ণ্ডের মূলহোতা অমিত সাহার মৃ'ত্যুদ'ণ্ড দাবিতে আপিল করা হবে।

বুধবার দুপুরে আবরার ফাহাদ হ'ত্যা মা'মলার রায় ঘোষণার পরে কুষ্টিয়া শহরের নিজ বাড়িতে এসব কথা বলেন আবরারের রোকেয়া খাতুন। এ সময় তিনি কা'ন্নায় ভেঙে পড়েন।

আবরার হ'ত্যা মা'মলার সব আ'সামির মৃ'ত্যুদ'ণ্ড দাবি করেন রোকেয়া খাতুন বলেন, হ'ত্যাকা'ণ্ডের মূলহোতা অমিত সাহা হ'ত্যাকা'ণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে না থাকলেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সে হ'ত্যাকা'ণ্ডের সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। অথচ তাকে মৃ'ত্যুদ'ণ্ড দেওয়া হয়নি। কী'ভাবে সে মৃ'ত্যুদ'ণ্ড থেকে বাদ যায় আমি বুঝতে পারলাম না। আপনারাও ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে দেখেছেন ২৫ আ'সামি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আবরার হ'ত্যায় জড়িত ছিল। কী'ভাবে ৫ আ'সামির মৃ'ত্যুদ'ণ্ড থেকে বাদ গেল।

রোকেয়া খাতুন বলেন, আববার হ'ত্যাকা'ণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী অমিত সাহার মৃ'ত্যুদ'ণ্ডের দাবিতে আম'রা উচ্চ আ'দালতে আপিল করব।

এর আগে ১২টার দিকে আত্মীয় স্বজন নিয়ে টেলিভিশনে রায়ের খবর দেখতে বসেন তারা। একই দিন আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ আবরার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাসায় আসেন। এ সময় মা কা'ন্নায় ভেঙে পড়েন।

অমিত সাহা বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক পদে ছিলেন। তাকে পরে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের গেস্টরুমে আ'সামি কতিপয় ছাত্রলীগ নেতা সভা করে বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র আবরারকে হ'ত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। পর দিন রাতে তাকে পি'টিয়ে হ'ত্যা করা হয়। আবরার হ'ত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থা'নায় মা'মলা করেন।

আজ রায় ঘোষণার সময় ২২ আ'সামি আ'দালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আ'সামি এখনও পলাতক রয়েছে।

মৃ'ত্যুদ'ণ্ডপ্রাপ্ত আ'সামিরা হলেন— মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইস'লাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইস'লাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্ম'দ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এএসএম নাজমু'স সাদাত, মোর্শেদ অম'র্ত্য ইস'লাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এসএম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এর মধ্যে শেষে তিনজন পলাতক রয়েছে।

যাব'জ্জীবন কারাদ'ণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— অমিত সাহা, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।

Back to top button