লঞ্চে আ'গুনের ঘটনায় চালককে দায়ী করছেন যাত্রীরা

এমভি অ'ভিযান-১০ লঞ্চে অ'গ্নিকা'ণ্ডের ঘটনার পর যদি দ্রুত লঞ্চটিকে নদী তীরে নোঙর করা যেতো তবে এতো হতাহতের ঘটনা ঘটতো না বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা। মুনুসুর নামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ জানান, ‘নলছিটির পরপরই লঞ্চটিতে আ'গুন লাগে।

তখনও এর মাত্রা প্রকট ছিল না। যাত্রীরা লঞ্চটিকে তীরে নিতে স্টাফদের গালমন্দও করেছে। তবে চালক কিছুটা তীরে নিয়ে আবার লঞ্চটিকে নদীর মধ্যে নিয়ে আসেন। এ সময় আ'গুনের তীব্রতা বেড়ে গেলে, বেশিরভাগ নদীতে ঝাঁপ দেয়।
লঞ্চের যাত্রী আব্দুল্লাহ বলেন, যারা ঝাঁপ দিতে পারেনি বা যারা সাঁতার জানেন না তারা পুড়েই অঙ্গার হয়ে গেছেন। যদি লঞ্চটিকে কোনোভাবে সঙ্গে সঙ্গে তীরে নেওয়া যেতো তাহলে এতো লোক মা'রা যেতো না।

রিনা নামে অ'পর এক যাত্রী জানান, পুরো লঞ্চে আ'গুন নেভানোর চেষ্টা করতে কাউকে দেখা যায়নি। হয়তো তাদের আ'গুন নেভানোর পর্যাপ্ত সরঞ্জামই ছিল না।

এদিকে ঘটনাস্থলে লঞ্চটি পরিদর্শনে এসে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের চালকের বি'রুদ্ধে যে অ'ভিযোগ রয়েছে তাতে চালকের অদক্ষ ছিল হয়তো। তবে পুরো ঘটনা ত'দন্তে কমিটি গঠন করা হবে বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়া যারা আ'হত নি'হত হয়েছেন তাদের জে'লা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।

এছাড়া শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা'লের বার্ন ইউনিট থাকায় আমি ঢাকায় বার্ন হাসপাতা'লে কথা বলে রেখেছি। বরিশালে যতটা সম্ভব চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পরিদর্শনকালে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন।

এদিকে ভোর থেকে নদীতে তল্লা'শি করে লঞ্চের ৯ যাত্রীর ম'রদেহ উ'দ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এর মধ্যে নারী, পুরুষ ও শি'শু তিনজন করে জানিয়েছেন বরিশাল কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট আহম্মেদ অনাবিল। তিনি জানান, কোস্টগার্ডের মোট পাঁচটি টিম কাজ করছে এখানে। যেসব ম'রদেহ উ'দ্ধার হয়েছে তাদের পায়ের অংশ কিছুটা ঝলসে গেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে লঞ্চের ডেকগুলো প্রচুর গরম হয়েছিল।

এদিকে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক বেল্লাল উদ্দিন বলেন, তাদের প্রায় ১০টি ইউনিট কাজ করছে এখানে। এ পর্যন্ত তারা ৩৭টি ম'রদেহ উ'দ্ধার করেছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী অ'ভিযান ১০ লঞ্চে অ'গ্নিকা'ণ্ডের ঘটনায় বেলা ২টা পর্যন্ত ৩৭ জনের ম'রদেহ উ'দ্ধার করেছে পু'লিশ। এদের মধ্যে নারী ও শি'শুও রয়েছে। তবে আ'গুনে দ'গ্ধ ৩০ জনের বেশিরভাগেরই পরিচয় জানা কঠিন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে উ'দ্ধারকারীরা।

Back to top button