লঞ্চে রওয়ানা দিয়ে যমজ দুই বোন বাড়িতে গেলো কফিনে
ঝালকাঠিতে লঞ্চ দুর্ঘ'টনায় প্রা'ণ হারিয়েছেন যমজ দুই বোন। এ ঘটনায় নি'খোঁজ রয়েছেন তাদের মা শিমু আক্তার। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকার সদরঘাট থেকে অ'ভিযান-১০ লঞ্চে অ'গ্নিকা'ণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪২ জনের মৃ'ত্যুর খবর খাওয়া গেছে। মৃ'তদের মধ্যে রয়েছেন যমজ দুই বোন লামিয়া ও সামিয়া।
মৃ'তদের স্বজনরা জানায়, মা শিমু আক্তার ও নানি দুলু বেগম লামিয়া ও সামিয়াকে নিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের দাদার বাড়ি বরগুনায় বেড়াতে আসছিলেন। বাবা রফিক অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তার আসা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট থেকে এমভি অ'ভিযান-১০ লঞ্চটিতে ওঠেন তারা বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকত যমজ দুই বোন শি'শু লামিয়া ও সামিয়া। নানি আর মায়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনার তালতলী দাদার বাড়িতে বেড়াতে আসছিল তারা। দুই বোন বাড়িতে এলো ঠিকই, তবে কফিন হয়ে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অ'ভিযান-১০ লঞ্চের আ'গুনে মৃ'ত্যু হয় তাদের।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনা জেনারেল হাসপাতা'লের ম'র্গে চার বছর বয়সী লামিয়া ও সামিয়ার ম'রদেহ শনাক্ত করেছে স্বজনরা। মামা'র কাছে তাদের লা'শ হস্তান্তর করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সামিয়া ও লামিয়া বরগুনার তালতলী উপজে'লার আগাপাড়া গ্রামের রফিক হোসেনের মে'য়ে।
মৃ'তদের স্বজনরা জানায়, মা শিমু আক্তার ও নানি দুলু বেগম লামিয়া ও সামিয়াকে নিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের দাদার বাড়ি বরগুনায় বেড়াতে আসছিলেন। বাবা রফিক অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তার আসা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট থেকে এমভি অ'ভিযান-১০ লঞ্চটিতে ওঠেন তারা। বরগুনাগামী লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এলে রাত ৩টার দিকে ভ'য়াবহ অ'গ্নিকা'ণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে গুরুতর দ'গ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মা'রা যায় সামিয়া ও লামিয়া। তাদের নানি দুলু বেগম গুরুতর আ'হত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা'লে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মা শিমু আক্তার এখনও নি'খোঁজ রয়েছেন। তাদের বাবা রফিক স্ত্রী'কে খুঁজতে বরিশালে আছেন।