‘‌সব গুছাইয়া রাইখো, জলদি ঢাকা ফিরতে হবে’

আব্দুল হক, কয়েক মাস আগে বেসরকারি একটি কোম্পানিতে মোটামুটি বেতনে চাকরি পান আব্দুল হক। পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গলেও বেশ পরিচিত ছিলেন তিনি। ঢাকায় একাই থাকতেন তিনি। সিদ্ধান্ত নেন বরগুনা থেকে স্ত্রী'কে ঢাকা নিয়ে আসবেন। ঢাকায় বাসাও নিয়েছিলেন স্ত্রী'র জন্য। কিন্তু এমভি অ'ভিযান-১০ ট্র্যাজেডিতে নি'খোঁজ হন তিনি। তার সন্ধানে ঝালকাঠি এসেছেন বরগুনা জে'লার আমতলীর বাসিন্দা খোকন। খোকন নি'খোঁজ আব্দুল হকের স্ত্রী'র বড় ভাই।

খোকন বলেন, অনেক ক'ষ্টের পরে আমা'র বোনের একটা কূল-কিনারা হয়েছিল। বোনের জামাই অনেক ক'ষ্ট করেছে। কিন্তু সুখ সইল না কপালে। লঞ্চে আ'গুনের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই আব্দুল হকের মোবাইলে হাজার বার কল করেছি। মোবাইল বন্ধ। তবে বৃহস্পতিবার লঞ্চে ওঠার পরে বোনকে কল করে হক বলেছিল, সব গুছাইয়া রাইখো, জলদি ঢাকা ফিরতে হবে। আমি কিন্তু বাড়ি বেশি দিন থাকমু না। সেই কলই যে শেষ কল হবে কে জানত?

খোকন বলেন, এখন এসে লা'শটিও পাচ্ছি না। আমি আমা'র বোনকে কি দিয়ে বুঝ দেব? অন্তত লা'শটি নিয়ে গিয়ে হলেও বলতে পারব, আল্লাহ নিয়ে গেছেন। এখন কী' বলব? কবর দেওয়ারও তো কোনো সুযোগ রইল না। যদিও খোকনের বিশ্বা'স, নদীতে ডুবে মা'রা যেতে পারে আব্দুল হক। এজন্য ট্রলারে করে শুক্রবার সুগন্ধা নদীতে সন্ধান চালিয়েছেন। আজও সন্ধানে নেমেছেন।

উল্লেখ্য, ঝালকাঠি লঞ্চ দুর্ঘ'টনায় মৃ'তের সংখ্যা ৩৮ জনে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে ঝালকাঠি জে'লা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে সদরঘাট ছেড়ে এসে রাত ৩টার দিকে ঝািলকাঠি জে'লার নলছিটি উপজে'লার সুগন্ধা নদীতে পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে বিকট শব্দে অ'গ্নিকা'ণ্ডের সূত্রপাত হয়। নি'হতদের মধ্যে ৩৭ জনের লা'শ বরগুনায় পাঠানো হয়েছে। তবে শনাক্ত না হওয়ায় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা এখনই সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে জে'লা প্রশাসন।

Back to top button