ছা'ত্রীকে যৌ'ন হয়'রানি: হলি ফ্যামিলির সেই চিকিৎসক গ্রে'প্তার
মেডিক্যাল কলেজের ছা'ত্রীকে যৌ’ন হয়'রানির অ'ভিযোগে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীকে গ্রে'প্তার করেছে র্যা'ব। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে গ্রে'প্তার করা হয়।
র্যা'ব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইম'রান খান বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আ ন ম ইম'রান খান বলেন, হলি ফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর বি'রুদ্ধে এক শিক্ষার্থী যৌ'ন হয়'রানির অ'ভিযোগে মা'মলা করেন। ভুক্তভোগীর মা'মলার কারণে ওই চিকিৎসককে র্যা'ব গ্রে'প্তার করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
এর আগে নারী ও শি'শু নি'র্যাতন দমন আইনে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রমনা থা'নায় ওই শিক্ষকের বি'রুদ্ধে একটি মা'মলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। রমনা থা'নার ভা'রপ্রাপ্ত কর্মক'র্তা (ওসি) মনিরুল ইস'লাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, বাদী হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজের শেষ বর্ষের ছা'ত্রী। গত বছরের জানুয়ারিতে কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী ফার্মাকোলজি প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দুই দফায় অগ্রীম ২০ হাজার টাকা নেন। তাকে শিক্ষকের বাসায় পড়তে যাওয়ার কথা বলা হয়। বাদী রাজী না হলে তাকে কলেজেই পড়াতে শুরু করেন শিক্ষক।
গত বছরের মা'র্চে করো'না মহামা'রিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে আইটেম পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ডা. সালাউদ্দিন বিভিন্ন সময় অনলাইনে শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাকে তার বাসায় যেতে বলেন। এতে শিক্ষার্থী রাজী না হওয়ায় কলেজে বিভিন্ন সময় দেখা করে অ'নৈতিক প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজী না হলে ছা'ত্রীকে আরও বেশি দিন কলেজে থাকতে বলে হু'মকি দেওয়া হয়।
গত ৬ নভেম্বর কলেজের সিঁড়ির পাশে শিক্ষক ওই ছা'ত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।
রমনা থা'নায় মা'মলার আগে গত ২২ ডিসেম্বর ডা. সালাউদ্দিনের বি'রুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থা'নায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই ছা'ত্রী। জিডিতে শিক্ষার্থী অ'ভিযোগ করেন, পরীক্ষায় পাস না করিয়ে একই শিক্ষাবর্ষে অনেক বছর রাখার হু'মকি দিয়ে ওই শিক্ষক তাকে মেসেঞ্জারে খা'রাপ প্রস্তাব দেন। প্রাইভেট পড়ার জন্য তাকে বাসায় যেতে বলেন। কিন্তু বাসায় যেতে শিক্ষার্থী রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে নানাভাবে হু'মকি দেন শিক্ষক। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ওই শিক্ষক তাকে খা'রাপ প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। এতে তার পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। অ'ভিযোগ পাওয়ার পর ত'দন্ত শুরু করেছে কলেজের যৌ'ন নি'পীড়িন প্রতিরোধ কমিটি।