জয়নাল হাজারীর অঢেল সম্পদের উত্তরাধিকার হবেন যারা

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক সাংসদ এবং এক সময়ের তুমুল আ'লোচিত-সমালোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জয়নাল আবেদীন হাজারী গত ২৭ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতা'লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃ'ত্যুবরণ করেন। মৃ'ত্যুকালে অঢেল সম্পদ রেখে যান চিরকুমা'র এই রাজনীতিবিদ। তার সম্পদের মধ্যে ৬০ শতকের মুজিব উদ্যান থাকবে অখণ্ড। এছাড়া তার সব স্থাবর—অস্থাবর সম্পদের ভাগিদার হবেন ভাতিজা, ভাতিজি ও ভাগিনা—ভাগ্নিরা।

চিরকুমা'র হাজারীর স্মৃ'তিরক্ষায় শৈলকুটির থাকবে অখণ্ড। জয়নাল হাজারী জীবিত অবস্থায় কোন সম্পত্তি ওয়াকফ বা অন্য কোথায়ও দান করেননি।
এ তথ্য জানিয়েছেন একসময়ের জয়নাল হাজারীর ঘনিষ্ঠ সহচর জে'লা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ফেনী জজ কোর্টের আইনজীবী এম শাহ'জাহান সাজু।

ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ার মুজিব উদ্যানে জয়নাল হাজারীকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এ জায়গা অখণ্ড রাখার জন্য তিনি মৃৃত্যুর আগে ওসিয়ত করে যান। এ জায়গাটি কোনো ধরনের ভাগাভাগি হবে না। তবে, জায়গাটি তার পরিবারের সদস্যরাই দেখভাল করবেন।

এর আগে ১৯৯৯ সালে ৬০ শতাংশের জায়গাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃ'তি রক্ষায় মুজিব উদ্যান করার জন্য জয়নাল আবেদীন হাজারী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে দান করেন। কিন্তু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধুর স্মৃ'তিতে মুজিব স্মৃ'তিস্তম্ভ না করার কারণে জয়নাল হাজারীকে আবার জায়গাটি ফেরত দিয়ে দেন।

এছাড়াও শহরের বড় বাজারে তার পৈত্রিক সূত্রে মালিকী'য় ৩ শতাংশ জায়গায় ভবন রয়েছে। শহরের পেট্রোবাংলায় ৩০—৩৫ শতাংশ জায়গা, রাজধানীর ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট রয়েছে। যেটি তিনি জীবিত থাকাবস্থায় ছোট বোন খোদেজা হাজারীকে দান করেছেন। রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার নামে একটি প্লট রয়েছে।

আইনজীবী শাহ'জাহান সাজু আরো জানান, ‘উত্তরাধিকার সূত্রে হাজারী ভাইয়ের সব স্থাবর—অস্থাবর সম্পত্তির মালিক হবেন তার ভাই—বোন। মুজিব উদ্যান অখণ্ড থাকবে বলেও হাজারী ওসিয়ত করে গেছেন। এটি একসময় হিন্দুদের সম্পত্তি ছিল। জয়নাল হাজারীর বাবা আবদুল গণি হাজারী জায়গাগুলো কিনে নেন। পৈত্রিক বন্ট'কে তিনি এ জায়গাটি ভাগে পেয়েছেন। ’

Back to top button