শেষ সময়ে মা'র্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ঢল

রাজধানীর মা'র্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকা'টার শেষ সময়ে ক্রেতার ঢল নেমেছে। মা'র্কেট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতার গন্তব্য অলঙ্কার-প্রসাধনী ও গার্মেন্টস দোকানে। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) জুমা নামাজের পর টোকিওস্কয়ার-কৃষিমা'র্কেট-শ্যামলীস্কয়ারে ক্রেতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। একই সঙ্গে জমে উঠতে শুরু করে প্রসাধনী ও জুয়েলারির (অলঙ্কারের) দোকান।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, তরুণ-তরুণীদের একটা অংশ নিউমা'র্কেট থেকে প্রসাধনী-জুয়েলারি কিনে থাকেন। তবে সং'ঘর্ষের প্রভাবে সেই ক্রেতাদের একটা অংশ টোকিওস্কয়ারের দিকে আসছেন। ক্রেতার এই ঢল চাঁদ রাত পর্যন্ত থাকবে বলে আশা করছেন তারা।

ধানমন্ডি থেকে আসা ক্রেতা নজরুল ইস'লাম বলেন, প্রত্যেকটা পণ্যের ৫০-১০০ টাকা বেশি দাম বলছে। করো'না কমলেও মানুষের হাতে টাকা খুব একটা নেই। তারপরেও সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মিল করে কেনাকা'টা করতে এসেছি। যেখানে ভালো দামে পাবো, সেখান থেকেই নিবো। আম'রা মধ্য আয়ের কর্মচারী। আমাদের সাদ ও সাধ্যের মধ্যেই পরিবার পরিজনদের জন্য বাজার করতে হবে।

লেভেল ২ পাঞ্জাবী ব্যবসায়ী বলেন, করো'নার পর আমাদের ব্যবসার অবস্থা খুব বেশি ভালো না। আম'রা লাভ কম রেখে বিক্রি বেশির টার্গেটে রয়েছি। ক্রেতাদের সাথে দামে মিলে গেলে অল্প লাভে ছেড়ে দিচ্ছি।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, এবার পার্ল-স্টোনের গলার সেট, গহনার চাহিদা তুলনামূলক বেশি। তিনি বলেন, আগে দেখা যেতো পোশোকের সঙ্গে মিল করে স্টোনের সেট নিত। এখন ম্যাচিং ছাড়াও অনেক পণ্য যাচ্ছে। বিক্রিও ২০-৩০ গুণ বেড়েছে। মে'য়েদের আইটেমগুলো আসে চীন থেকে। সেখান থেকে আনতে ৮০-১০০ টাকা বেশি খরচ পড়ছে। প্রসাধনী আইটেম কোরিয়া থেকেও আসে। সেখানেও দাম বাড়তি। বেশি দামে আম'দানি করতে হয়েছে বলে আমাদেরকেও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কৃষিমা'র্কে'টে গিয়ে দেখা যায়, শাড়ি, কাপড়, সেন্ডেল, জুয়েলারিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। নানা রকমের ব্যান্ড, লেডিস ব্যাগ, চুড়ি, হিজাব পিন, নোসপিন, ইয়ার রিং বিক্রি গত কয়েকদিন ধরেছে বেড়েছে। বিক্রি এমন চললে ঈদকে কেন্দ্র করে যে প্রত্যাশা তা পূরণ হওয়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষিমা'র্কে'টে আসা ক্রেতা আশরাফুল আলম বলেন, আম'রা মিরপুর থেকে এসেছি। বাচ্চাদের জন্য বাজার করতে। এখানে সাধ্যের মধ্যে দামে কিনতে পারি। তবে প্রতিবারের ন্যায় এবারের জিনিষের দাম বেশি।

বেলা গড়ার সাথে সাথে আবহাওয়া চলে যায় ক্রেতাদের বিপক্ষে, নেমে আসে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেও অনেক ক্রেতাকে দেখা গেছে রাজধানীর মা'র্কেটগুলোতে কেটাকা'টা করতে।

Back to top button