নাহিদকে কু‌‌'পিয়েছে ঢাকা কলেজের ছাত্র ইমন

রাজধানীর নিউমা'র্কে'টে এলাকায় ব্যাবসায়ী-কর্মচারী আর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সং'ঘর্ষের সময় নাহিদ ও মুরসালিনকে কু‌‌'পিয়ে হ'ত্যার ঘটনায় তিনজনকে শনাক্ত করেছে পু'লিশ। সেদিন নি'হত ডেলিভা'রিম্যান নাহিদকে কুপিয়েছে ঢাকা কলেজের ছাত্র ইমন। ইতিমধ্যে নাহিদকে কো'পানোর যে ছবিটি গণমাধ্যমে ভাই'রাল হয়েছে, সেই ছবিটি ইমনের। অ'ভিযু'ক্ত ইমন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি খুলনায়। সে কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ছাত্র। ভিডিও ও ছবিতে নাহিদকে নৃ'শংসভাবে কো'পাতে দেখা গেছে ইমনকে।

ঘটনার দিন ইমন তার বাম হাতের ওপরের অংশে ও পায়ে ইটের আ'ঘাতে আ'হত হন। ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, তার বাম হাত ছিল কাপড় দিয়ে বাঁ'ধা। ইমনের সঙ্গে ভিডিওর ওই যুবকের চেহারার মিল খুঁজে পেয়েছে পু'লিশ। গোয়েন্দারা ঢাকা কলেজের যে দুই ছাত্রকে স'ন্দেহের আওতায় রেখেছেন, তাদের একজন ইমন। মা'মলা দায়েরের পর থেকে ইমনকে আর দেখা যায়নি। বন্ধ রয়েছে তার মোবাইল ফোন। ডিঅ্যাক্টিভ করা হয়েছে তার ফেসবুক আইডি। যদিও ঘটনার দিনও তার ফেসবুক আইডি সচল ছিল। গোয়েন্দারা বলছেন, দেশীয় অ'স্ত্র হাতে সং'ঘর্ষে অংশ নেওয়া ঢাকা কলেজের আরও কয়েকজন ছাত্রকে শনাক্ত করা হয়েছে।

এদিকে সং'ঘর্ষের নেতৃত্বে থাকা চার জন ছাত্রের মধ্যে দুই জনকে হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা বিভাগ- এমনটা দাবি করছেন সাধারণ ছাত্ররা। তবে তাদের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একজন গোয়েন্দা কর্মক'র্তা। তিনি জানান, সেদিন চারটি গ্রুপে সং'ঘর্ষে অংশ নিয়েছিল ছাত্ররা। সং'ঘর্ষে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী-কর্মচারী গ্রুপ থেকে দলছুট হয়ে যাওয়ায় নাহিদ মূলত গণপি'টুনির শিকার হয়েছিলেন। ছাত্রদের চারটি গ্রুপের অনেককেই নাহিদের ওপর চড়াও হতে দেখা যায়।

এছাড়া নাহিদকে প্রথমে যে দুজন মা'রধর শুরু করে, তারা হলো- কাইয়ুম ও সুজন ইস'লাম। একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কাইয়ুম নীল ও সাদা রঙের চেকের টি শার্ট পরা। সে নাহিদকে রড দিয়ে আ'ঘাত করে। হেলমেট না থাকায় সহ'জেই কাইয়ুমকে চেনা যায়। আর সুজন ইস'লাম নাহিদকে ইটের আ'ঘাত ও লাথি মে'রে আ'হত করে। পরে নাহিদকে কো'পাতে থাকলে ইমনকে চড় মে'রে সেখান থেকে সরিয়ে দেন সুজন ইস'লাম। সুজন ইমনের সিনিয়র হওয়ায় ওই সময় চড় মে'রে শাসন করতে পেরেছিল বলে মনে করেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।

একাধিক ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে ব্যবসায়ীরা ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ধাওয়া দেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষে সামনে থেকে অবস্থান নিয়ে নাহিদও ছাত্রদের ধাওয়া দিয়েছিলেন। ছাত্ররা পাল্টা ধাওয়া দিলে ফিরে আসার সময় নূরজাহান মা'র্কে'টের গেটের সামনে পা পিছলে মাটিতে পড়ে যান নাহিদ। আর ছাত্রদের মাঝে কয়েকজন এসে হাতের রড, লা'ঠি, ইট দিয়ে নাহিদকে বেধড়ক পে'টাতে থাকে। এভাবে দুই থেকে তিন মিনিট পে'টানোর পর নাহিদ নিস্তেজ হয়ে পড়েন। নাহিদকে মে'রে ছাত্ররা পেছনে চলে যাওয়ার সময় রাম'দা হাতে কালো হেলমেট পড়া একজন ছাত্র এসে নাহিদকে কো'পাতে থাকে। হলুদ হেলমেট ও লাল রঙয়ের গেঞ্জি পরা আরেক ছাত্র এসে নাহিদকে কো'পাতে থাকা ছাত্রটিকে চড় মে'রে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর ব্যবসায়ী পক্ষের যুবকরা নাহিদকে উ'দ্ধার করে হাসপাতা'লে নিয়ে যায়।

নাহিদ হ'ত্যা মা'মলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পু'লিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘এটা খুবই সেনসিটিভ মা'মলা। অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে চলছে ত'দন্ত। এটা নিয়ে আম'রা কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাই না। আম'রা শতভাগ নিশ্চিত হয়েই অ'প'রাধীদের আইনের আওতায় আনবো। কারণ, এখানে ছাত্রদের জীবন নিয়ে প্রশ্ন।’ তিনি বলেন, ‘আম'রা অনেককেই চিহ্নিত করেছি। কিন্তু কারও পরিচয় স'ম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হতে পারিনি। আম'রা যখন নিশ্চিত হবো, তখনই গণমাধ্যমকে সব তথ্য জানানো সম্ভব হবে।’

Back to top button