যে কারণে ইস'লাম ধ'র্ম গ্রহণ করেন মহেশ ভাট!
রণবীর-আলিয়ার বিয়ের রেশ এখনও কাটেনি। এর মাঝেই বুধবার আলিয়ার বাবা-মা সেলিব্রেট করছেন তাদের বিবাহবার্ষিকী'। বুধবার বিয়ের ৩৬ বছর পূর্ণ করলেন মহেশ ভাট ও সোনি রাজদান। তবে মহেশ ভাট ও সোনি রাজদানের বিয়ে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। বিবাহবার্ষিকী'তে ফিরে দেখা যাক এই জুটির স'ম্পর্কের শুরুর দিনগুলো।
বিবাহিত মহেশ ভাট প্রে'মে পড়েছিলেন অ'ভিনেত্রী সোনি রাজদানের। এরপর আশির দশকের শেষের দিকে বিয়ের বাঁধনেও বাঁ'ধা পড়েন এই জুটি। তবে নিজের প্রথম স্ত্রী'কে ডিভোর্স দেননি মহেশ।
কিন্তু হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে কোনো পুরুষ তার স্ত্রী'কে ডিভোর্স না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে না। এই জন্য এক অ'ভিনব রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন মহেশ ভাট। নিজের মায়ের ধ'র্ম ইস'লাম গ্রহণ করে সোনি রাজদানকে বিয়ে করেন মহেশ ভাট।
নিজের ব্যক্তিগত স'ম্পর্কগুলো নিয়ে বরাবরই বি'স্ফো'রক মহেশ ভাট। একবার হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মহেশ ভাট নিজেকে শিরিন মোহাম্ম'দ আলির ‘অ'বৈধ সন্তান’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, মহেশ ভাটের মা-কে বিয়ে করেননি তার বাবা নানাভাই ভাট। গুজরাতি অ'ভিনেত্রী ছিলেন শিরিন আলি।
মহেশ ভাট ১৯৬৮ সালে লরেন ব্রাইট'কে বিয়ে করেন, বিয়ের পর লরেন নিজের নাম পালটে রাখেন কিরণ। তাদের দুই সন্তান পূজা ভাট (১৯৭২) ও রাহুল ভাট (১৯৮২)। মাঝে অ'ভিনেত্রী পারভিন বাবির সঙ্গে স'ম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিবাহিত মহেশ ভাট। তবে মানসিকভাবে অ'সুস্থ পারভিনের সঙ্গ শেষ মুহূর্তে ছেড়ে দেন মহেশ।
মহেশ ভাট ও সোনি রাজদানের দুই কন্যা, শাহিন ভাট ও আলিয়া ভাট। শুরুতে মহেশের দুই পরিবারের মধ্যে তেমন সখ্যতা ছিল না। তবে সময়ের সঙ্গে বদলেছে সব সমীকরণ।
মহেশের প্রথম স্ত্রী' ও তার পরিবারের প্রতি কী' কোনও বিরূপ মনোভাব রয়েছে সোনি রাজদানের? আলিয়ার মা এক সাক্ষাতারে এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন- ‘কিছু সময়ের জন্য হয়ত ছিল, হয়ত.. তবে সময়ের সঙ্গে সেটা বদলে গেছে। এখন আমাদের স'ম্পর্ক অনেক মজবুত, তবে হ্যাঁ, ঝগড়া তো হয়েছে। যখন বিয়ে হয়নি তখন অনেকবার সমস্যা হয়েছে, তবে বিয়ের পর পরস্থিতি অনেকটা বদলে গিয়েছে’।