লিফটে ৫৫ মিনিট আ'ট'কে ছিল স্টিভ স্মিথ, যেভাবে উ'দ্ধার হলেন

প্রা'ণঘাতি ক’রোনা বিস্তার করতে শুরু করেছে অ্যাসেজের মঞ্চে। ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনের পর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ট্রেভিস হেড ক’রোনায় আ'ক্রান্ত। এর মাঝেই বাঁধলো নতুন এক বিপত্তি। ৫৫ মিনিট লিফটে আ'ট'কে থাকলেন অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। ঘটনা গত বৃহস্পতিবারের।

লবি থেকে নিজের ঘরে ফিরছিলেন স্টিভ স্মিথ। লিফট তার ফ্লোরে এলেও দরজা খুলছিল না। ভ'য় না পেয়ে স্টিভ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ শুরু করেন। লিফটে আ'ট'কে থাকার অ'ভিজ্ঞতা শেয়ার করতে শুরু করেন সবার সঙ্গে। ততক্ষণে অ্যালার্ম বাটন প্রেস করেছেন। স্মিথের লাইভ দেখে লিফটের দরজার সামনে হাজির হন সতীর্থ মা'র্নস লাবুসেন। লিফটের দরজার ফাঁক দিয়ে বন্ধুকে চকলেটও দেন লাবুসেন।

লিফটে আ'ট'কে থাকা নিয়ে নিজের ইনস্টগ্রামে পোস্ট করেন স্মিথ। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘লিফটে থাকা অবস্থায় আমি আমা'র ফ্লোরেই ছিলাম। কিন্তু দরজা খুলছিল না। লিফটটি খা'রাপ হয়ে গিয়েছিল। আমি দরজা খোলার অনেক চেষ্টা করেছি, ভিতর থেকে খোলার চেষ্টা করছিলাম। অন্য দিকে মা'র্নাস (ল্যাবুশেন) বাইরে থেকে খোলার চেষ্টা করছিল। এতে অবশ্য খুব বেশি লাভ হয়নি। সত্যি কথা বলতে, ঠিক যে রকম সন্ধ্যা কা'টানোর পরিকল্পনা করেছিলাম, সে রকমটা একেবারেই হয়নি।’

এদিকে, দরজা খোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হোটেলের কর্মীরা। ৫৫ মিনিটের লড়াইয়ের পর খোলা সম্ভব হয় লিফটের দরজা। করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান লাবুসেন। বির'ক্ত হচ্ছিলেন স্মিথ। কিন্তু কিছু করার নেই। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় সবার সঙ্গে অ'ভিজ্ঞতা শেয়ার করাই ছিল একমাত্র উপায়। লিফটে থেকে বেড়িয়ে এসে স্টিভ বলেন, যেভাবে বিকালটা প্ল্যান করেছিলেন সেভাবে কাটল না। শেষ পর্যন্ত নিজের ঘরে ফিরতে পেরেছি। একটা সময় মনে হচ্ছিল লিফট থেকে বেড়িয়ে আসতেই পারব না।

পরে স্মিথ মজা করে বলেন, ‘এই ৫৫ মিনিট আমি সম্ভবত আর কখনই ফিরে পাব না।’

অ্যাসেজ জিতে এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে অস্ট্রেলিয়া শি'বির। আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে সিডনিতে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য অজিদের। ইংল্যান্ড শি'বিরের আত্মবিশ্বা'স দুম'রে গেছে। তাই কোনও ভাবেই এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায় না কামিন্সের দল। সিরিজে যদিও খুব একটা ছন্দে নেই স্টিভ স্মিথ নিজে। দ্বিতীয় টেস্টে কামিন্স না থাকায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

Back to top button