মানব ইতিহাসের অন্যতম আশচর্য দিন আজ
মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী টেলিস্কোপ মহাকাশের উদ্দেশে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। পৃথিবী থেকে ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগবে ২৯ দিন।
মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা যায়, ১০ বিলিয়ন ডলারের স্পেস টেলিস্কোপটি ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে ইউরোপিয়ান আরিয়ান রকে'টে উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রায় ৩০ বছর স্পেস টেলিস্কোপটির নকশা ও নির্মাণে সময় লেগেছে। যদিও টেলিস্কোপটি ২০০৬ সালে লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ভিবিন্ন সমস্যার কারণে এর পরেও কয়েকবার টাইম ফিক্সড করে লঞ্চ করা যায়নি।
মহাবিশ্বে আলো বিকিরণকারী কাছের নক্ষত্র ও ছায়াপথের ছবি তুলবে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। একই সঙ্গে মহাকাশ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার দরজা খুলে দেবে। এর ফলে পৃথিবী থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে মহাবিশ্বে বিরাজমান বস্তু ও সংঘটিত ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, সৃষ্টি জগতের র'হস্য নিয়ে নতুন তথ্য পাওয়া যাবে এই টেলিস্কোপ দিয়ে।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপঅ্যাপোলোর দায়িত্বে থাকা যু'ক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কর্মক'র্তা জেমস ওয়েবের নামানুসারে টেলিস্কোপটির নামকরণ হয়েছে।
মা'র্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেন, ‘এটি আমাদের মহাবিশ্ব এবং এর অবস্থান স'ম্পর্কে আরও ভালো বোঝার সুযোগ দেবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আপনি একটি বড় পুরস্কার চান, তখন আপনাকে সাধারণত একটি বড় ঝুঁ'কি নিতেই হবে। ’James Webb Space Telescope
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, লক্ষ্যে পৌঁছাতে এক মাস সময় নেবে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি। আর কাজ শুরু করবে অন্তত পাঁচ মাস পরে। ২০২২ সালে এর সুফল পাওয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক লামিয়া মাউলা এই প্রজেক্টে একজন বিজ্ঞানি হিসাবে কাজ করছেন। বাংলাদেশী হিসাবে আম'রা লামিয়াকে নিয়ে গর্ব করতে পারি।